ঐতিহাসিক জানাজা, ভালোবাসা ও আস্থার অনন্য বহিঃপ্রকাশের সাক্ষী হলেন শেখ সাদী
বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২:৪২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক ঐতিহাসিক জানাজায় জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সৃষ্টি হয় এক বিরল ও স্মরণীয় দৃশ্য। রাজধানীর কাওরান বাজার থেকে মগবাজার, মোহাম্মদপুর হয়ে গাবতলী পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় মানুষের ঢলে পুরো নগরী কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। যত দূর চোখ যায়, কেবল মানুষ আর মানুষ- এমন দৃশ্য রাজধানীর সাম্প্রতিক ইতিহাসে খুব কমই দেখা গেছে।
এই জানাজায় দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল থেকে আসা মানুষের উপস্থিতি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আস্থার এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নানা বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ-নারী-পুরুষ, তরুণ-প্রবীণ-দীর্ঘ পথ হেঁটে ও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে জানাজায় অংশ নেন। অনেককে চোখের জলে, আবেগাপ্লুত অবস্থায় প্রার্থনায় অংশ নিতে দেখা যায়।
জানাজাস্থলে উপস্থিত মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে অনেকে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, গণতন্ত্রের পক্ষে তার অবস্থান এবং দুঃসময়ে তার আপসহীন ভূমিকার প্রতি সম্মান জানাতেই সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। তাঁদের মতে, এই উপস্থিতি কেবল একটি আনুষ্ঠানিক ধর্মীয় আয়োজন নয়; বরং এটি জনগণের হৃদয়ে গড়ে ওঠা নেতৃত্বের প্রতি আস্থার প্রকাশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঐতিহাসিক জানাজায় মানুষের বিপুল অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে প্রকৃত নেতৃত্ব কাগজে-কলমে লেখা বা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় না; নেতৃত্ব গড়ে ওঠে সময়ের পরীক্ষায়, ত্যাগে এবং মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়ার মধ্য দিয়ে। এই জনসমাগম দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।
এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, এশিউর গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি শেখ সাদী। তিনি বলেন, এই জনসমাগম জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে এবং এটি মানুষের অনুভূতির প্রকৃত প্রতিফলন।
সার্বিকভাবে, এই জানাজা শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা হিসেবেই নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১২৬ বার পড়া হয়েছে