রোডম্যাপ না থাকায় হতাশ বিএনপি, দ্রুত নির্বাচনের দাবি

মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫ ১:২০ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “গত ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। একই দিনে আরও দুটি রাজনৈতিক দল এ বৈঠকে অংশ নেয়। পরদিন আরও ১৯টি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়। এসব বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদের মাধ্যমে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তাতে নির্বাচনের বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় আমরা হতাশ।”
তিনি বলেন, “আমরা কখনওই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি। তবে ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। সংস্কার এবং নির্বাচন—এই দুটি প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে। একইসাথে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারও চলমান রাখা সম্ভব।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি অভিযোগ করে, উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন এবং বিভ্রান্তিকর। বিএনপি মনে করে, এই অভিযোগ মূলত সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করার প্রচেষ্টা।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “সরকার যদি সত্যিই বিদেশি ষড়যন্ত্র ও পরাজিত শক্তির ইন্ধন রোধ করতে চায়, তবে তার একমাত্র পথ হলো অবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসীবাদবিরোধী বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। সরকার যদি এ লক্ষ্য অর্জনে আন্তরিক হয়, তবে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ করাসহ নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে হবে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করাই হবে আগামী দিনের মূল চ্যালেঞ্জ।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গেজেট প্রকাশিত হলেও মেয়র পদে নির্বাচিত ইশরাক হোসেনকে এখনো শপথ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
বিএনপি মনে করে, দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
১৪৮ বার পড়া হয়েছে