সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরা : ধ্বংসস্তূপের মাঝেই হারিয়ে গেছে ভিটাবাড়ি

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫ ৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
গাজা উপত্যকার দীর্ঘ ধ্বংসযজ্ঞ শেষে নিজ বাড়ি ফিরে আসতে শুরু করেছেন ফিলিস্তিনি জনগণ।

গাজার দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিস থেকে খবর পাওয়া গেছে, বাড়ি ফিরতে যাওয়া মানুষরা মিশ্র অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে—একদিকে দীর্ঘ ক্ষত, অন্যদিকে স্বস্তি ও আশার স্বল্পতম আলো।

৩২ বছর বয়সী আমির আবু ইয়াদেহ বলেন, "আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ, কারণ শেষ পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। যদিও হৃদয়ে রয়েছে দুঃখ ও ক্ষত।" আরেক স্থানীয়, ৩৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুর্তজা জানান, "আমি প্রার্থনা করি আমার বাড়িটি এখনও অক্ষত থাকবে, তবে বাস্তবতা ভিন্ন। গাজার অধিকাংশ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।"

৫৩ বছর বয়সী আরিজ আবু সাদায়েহ, যিনি যুদ্ধের শুরুতেই বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন, বলেন, "যুদ্ধবিরতি আমাদের মাঝে শান্তির প্রত্যাশা জাগিয়েছে, তবে এই যুদ্ধে আমি আমার দুই সন্তান হারিয়েছি, যা আমাকে গভীরভাবে কষ্ট দিচ্ছে।"

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে প্রায় ৬৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ফলে গাজার বন্দি সমস্যা নিয়েও সমাধানের সূচনা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার থেকে গাজার হামাস বন্দিদের মুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় হামাস ৪৮ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে, বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।

ট্রাম্পের মতে, "এটা এক বিশাল ট্র্যাজেডি, কিন্তু এখনই মুক্তির কাজ শুরু হয়েছে।" যুদ্ধবিরতি শুরুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার শর্তে, ইসরায়েলি সেনারা ধীরে ধীরে গাজার এলাকা থেকে সরে যাচ্ছে।

তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ভবিষ্যত এবং সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্ন এখনো অনিশ্চিত। ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, উভয়পক্ষই ক্লান্ত, তাই শান্তির পথ খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনও পরবর্তী আলোচনায় মীমাংসার অপেক্ষায় রয়েছে।

১১৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন