সর্বশেষ

জাতীয়

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বনেতারা, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৬:১২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বিশ্বের একাধিক সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান ও আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ।

ড. ইউনূসের নেতৃত্ব এবং তার সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানান এসব নেতারা।

এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্কের একটি হোটেল স্যুটে। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিজামী গাঞ্জাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের (NGIC) সহ-সভাপতি ভাইরা ভিকে-ফ্রেইবার্গা। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

উপস্থিত নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বোরুত পাহর, সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ, লাটভিয়ার আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট এগিলস লেভিটস, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল, গ্রিসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রেউ, বুলগেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রোসেন প্লেভনেলিয়েভ ও পেতার স্তোয়ানোভ, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো জোসিপোভিচ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট এমলাদেন ইভানিচ, মরিশাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমিনা গুরিব-ফাকিম। 

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথের সাবেক মহাসচিব, জর্জিয়ার সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চার সাবেক সভাপতি, বিশ্বব্যাংকের সাবেক সহ-সভাপতি ও NGIC-এর সহ-সভাপতি ইসমাইল সেরাগেলদিন, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট কেরি কেনেডি এবং জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা।


বৈঠকে বক্তারা ড. ইউনূসের আজীবন দারিদ্র্য দূরীকরণ, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, "আমরা এখানে এসেছি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন জানাতে। এই সংকটপূর্ণ সময়ে আমরা পুরোপুরি আপনার পাশে আছি।"

নেতারা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক হলেও দীর্ঘ ১৬ বছরের অপশাসন, দুর্নীতি ও প্রশাসনিক অচলাবস্থার কারণে দেশটি এখনও নানা সংকটে রয়েছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিশেষজ্ঞ সহায়তার প্রস্তাব দেন।

কেরি কেনেডি সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে দেশের মানবাধিকার অগ্রগতিকে “অসাধারণ” বলে মন্তব্য করেন। অন্যদিকে, জর্জটাউন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মেল্যান ভারভির জানান, তারা বাংলাদেশের ‘জুলাই বিপ্লব’-এর প্রতি শিগগির আনুষ্ঠানিক সমর্থন ঘোষণা করবেন।

আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের বিপুল সমর্থনে আবেগাপ্লুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “আমি অভিভূত। এটি আমার জন্য একেবারেই অপ্রত্যাশিত। আপনাদের এই ঐক্যবদ্ধ সমর্থন আমাদের জন্য শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস।”

তিনি বাংলাদেশের বর্তমান সংকটকে দীর্ঘমেয়াদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “গত ১৫ বছরে দেশটি যেন রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পের মধ্য দিয়ে গেছে। মানুষ রাতারাতি পরিবর্তনের আশা করে, কিন্তু বাস্তবে সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।”

ড. ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, “আমাদের পরামর্শ, সমর্থন ও নৈতিক শক্তি প্রয়োজন। দেশের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

উল্লেখ্য, এ সময় ড. ইউনূসের পাশে ছিলেন জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

১১৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন