নিহত দিদারুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৫:১৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে স্থানীয় সময় সোমবার নিউ ইয়র্কে পৌঁছান অধ্যাপক ইউনূস। সফরের অংশ হিসেবে রাতেই ম্যানহাটনের একটি হোটেলে দিদারুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এ সময় দিদারুল ইসলামের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “ঘটনাটি পত্রিকায় পড়ে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। টেলিভিশনে তার শেষযাত্রায় নিউ ইয়র্কবাসীর শ্রদ্ধা দেখে বুঝেছি, তিনি কতটা প্রিয় ছিলেন মানুষের কাছে।”
দিদারুল ইসলামের প্রতি সম্মান জানিয়ে তার পরিবারের হাতে একটি সম্মাননা ক্রেস্টও তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন নিহত কর্মকর্তার বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, স্ত্রী, দুই ছেলে আহিয়ান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, সদ্যোজাত সন্তান, ভাই কামরুল হাসান, বোন নাদিমা বেগম এবং অন্যান্য স্বজনরা।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ চিফ পলিটিক্যাল পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
৩৬ বছর বয়সী দিদারুল ইসলাম ২০২১ সালে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগে (NYPD) যোগ দেন। মৃত্যুর আগে তিনি ব্রঙ্কসের ৪৭তম প্রিসিঙ্কটে কর্মরত ছিলেন। ২৮ জুলাই পার্ক অ্যাভিনিউর একটি ৪৪ তলা ভবনের লবিতে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন।
ঘটনার দিন লাস ভেগাস থেকে আসা ২৭ বছর বয়সী শেন তামুরা একটি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। দিদারুলসহ আরও তিনজনকে গুলি করে হত্যার পর আত্মঘাতী হন তিনি। পরবর্তীতে জানা যায়, তামুরার লক্ষ্য ছিল পাশের ভবনে অবস্থিত ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (NFL) সদর দপ্তর, কিন্তু ভুল করে তিনি অন্য ভবনে প্রবেশ করেন।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ জানান, দিদারুল ইসলাম NYPD-এর অনুমতি নিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের সময় ইউনিফর্মে ছিলেন।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা দিদারুল নিউ ইয়র্কে মা-বাবা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। তার মৃত্যুর পর পরিবারে এসেছে আরেক পুত্র সন্তানের আগমন।
১১০ বার পড়া হয়েছে