সর্বশেষ

জাতীয়আজ শেষ হচ্ছে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা: সংগ্রহ ৩ হাজার ১৪৪, জমা ১৬৬
বিএনপির রদবদল: খালেদা জিয়ার তিন আসনে বিকল্প প্রার্থী প্রস্তুত
কনকনে শীত আরও তিন–চার দিন, দুর্ভোগ কাটছে না
সারাদেশগফরগাঁওয়ে রেললাইনের অংশ খুলে ফেলায় অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত
সিরাজগঞ্জ শহরে প্রকাশ্যে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা, ৩ জন আটক
শিবগঞ্জে ককটেল তৈরি ও বিস্ফোরণের আলামত উদ্ধার
আন্তর্জাতিকসেনাসমর্থিত ইউএসডিপির একতরফা জয়ের আভাস, ভোটে বাধ্য করার অভিযোগ
তাইওয়ানে চীনের লাইভ-ফায়ার সামরিক মহড়া, উত্তেজনা চরমে
২০২৫ সালে ইরানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর দ্বিগুণেরও বেশি, মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বেগ
মেক্সিকোর ওয়াহাকায় ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত ১৩, আহত প্রায় শতাধিক
খেলাঅনুশীলনের সময় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ঢাকার সহকারী কোচ
মতামত

জাতীয় সংগীতের অংশ ব্যথাতুর সুরে প্রচার, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারির দাবি

মনজুর এহসান চৌধুরী
মনজুর এহসান চৌধুরী

সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলাদেশের কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে জাতীয় সংগীতের অংশবিশেষকে বাঁশির করুণ সুরে প্রচারের ঘটনায় আইনি ও নৈতিক প্রশ্ন উঠেছে।

বিশেষ করে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ চরণটি ধীর ও বেদনাবিধুর ভঙ্গিতে বারবার প্রচার করায় জাতীয় প্রতীকের মর্যাদা রক্ষার ক্ষেত্রে এই ব্যবহার কতটা গ্রহণযোগ্য—তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন সংস্কৃতি অঙ্গন ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট অনেকে।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় সংগীত, পতাকা ও প্রতীকের মর্যাদা রক্ষায় ‘Bangladesh National Anthem, Flag and Emblem Order, 1972’–এ স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এ অর্ডার বা এর অধীনে প্রণীত কোনো বিধি লঙ্ঘিত হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। অর্ডারের ৪এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি এ অর্ডারের কোনো বিধান বা এ-সম্পর্কিত বিধিমালা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড একসঙ্গে দেওয়ার বিধান রয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সাইবার নিরাপত্তা আইনে ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত সম্পর্কে বিদ্বেষ বা কুৎসামূলক প্রচারণার জন্য আলাদা দণ্ডের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন, জাতীয় সংগীতকে নির্ধারিত সুর ও গাম্ভীর্যের বাইরে নিয়ে গিয়ে করুণ বা নাটকীয় আবহ তৈরির চেষ্টা তাকে বাণিজ্যিক ও আবেগ-শোষণমূলক উপাদানে পরিণত করছে, যা জাতীয় ঐক্য ও প্রতীকের মর্যাদার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাঁদের মন্তব্য, “জাতীয় সংগীতের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সৃজনশীলতার সীমা আছে; রাষ্ট্র নির্ধারিত সুরায়োজন ও পরিবেশনা শিষ্টাচার অমান্য করে ‘অন্যরকম’ আবেগ তৈরি করার প্রচেষ্টা আসলে অমর্যাদার ঝুঁকি বাড়ায়।” ফলে সংশ্লিষ্ট টেলিভিশনগুলো আইনগতভাবে সরাসরি অভিযুক্ত হোক বা না হোক, এই ধরনের প্রচার অব্যাহত থাকলে যে কোনো সময় জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগে তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি অঙ্গনের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা দ্রুত এ ধরনের প্রচার বন্ধ এবং জাতীয় সংগীত ব্যবহারবিষয়ক নির্দিষ্ট গাইডলাইন স্পষ্টভাবে সম্প্রচার নীতিমালায় যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁদের সুপারিশ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো একযোগে চ্যানেলগুলোকে সতর্ক করুক এবং ভবিষ্যতে জাতীয় সংগীত বা তার অংশবিশেষ ব্যবহারের আগে অনুমোদিত সুরায়োজন ও আইনগত শর্ত মানা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করুক।


লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট। 

১২৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
মতামত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন