সোমালিল্যান্ড স্বীকৃতি প্রত্যাহারে ইসরায়েলের প্রতি কঠোর আহ্বান সোমালিয়ার
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪:০২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইসরায়েলকে সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সোমালিয়া।
দেশটির সরকার বলছে, এই পদক্ষেপ সোমালিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে একটি আগ্রাসী ও অগ্রহণযোগ্য কাজ।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোমালিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর জানান, ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত সোমালিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। তিনি বলেন, বিষয়টি মোকাবিলায় কূটনৈতিকভাবে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার একদিন পরই মোগাদিসু থেকে এই তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্ত আফ্রিকা ও আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদ্বেগ ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। পাশাপাশি, এই স্বীকৃতির পেছনে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না—তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধের পর সোমালিল্যান্ড আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিলেও এতদিন কোনো জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায়নি। অঞ্চলটি নিজস্ব মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ পরিচালনা করলেও পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকা নিয়ে বিরোধ এখনও চলমান।
আলি ওমর বলেন, “আমাদের সরকার ও জনগণ দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ। এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার পাশাপাশি বিভাজনমূলক উদ্যোগ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি, যিনি ‘সিরো’ নামে পরিচিত, আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে শিগগিরই কোনো একটি দেশ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিতে পারে। রাজধানী হারগেইসায় সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের বার্তাসংবলিত বিলবোর্ডও দেখা গেছে।
সোমালিয়ার মতে, আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বই বিদেশি শক্তিগুলোর আগ্রহ ও হস্তক্ষেপের মূল কারণ। আলি ওমর বলেন, “এই অঞ্চল অতীতের মতো এখনও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
১০৬ বার পড়া হয়েছে