স্বদেশে ১৭ বছর পর বাবার কবর জিয়ারত তারেক রহমানের
শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬:১৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক কর্মসূচির সূচনা করেছেন।
দেশে ফেরার একদিন পর শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে গুলশানের বাসভবন থেকে তিনি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে গিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন।
এর আগে ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে সর্বশেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান। প্রায় ১৭ বছর পর বাবার কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দেশে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করলেন তিনি।
কবর জিয়ারত শেষে লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাসে করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান। তার আগমনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই স্মৃতিসৌধ এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের ভিড় জমতে শুরু করেছে।
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জিয়া উদ্যান, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান আনু জানান, তারেক রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে সাভার এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধ এলাকায় জড়ো হচ্ছেন। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, এদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষের সমাগম ঘটতে পারে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম জানান, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। তাকে স্বাগত জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত বিপুল মানুষের সমাগম ঘটে। ঐতিহাসিক এই জনসমাবেশে ঢাকা মহানগরী জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
পরে রাজধানীর ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়েতে আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় তারেক রহমান ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরেন। আবেগঘন বক্তব্যে তিনি একটি নিরাপদ, বৈষম্যহীন ও সাম্যভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা জানান, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
১১৭ বার পড়া হয়েছে