পশ্চিম তীরে ১৯টি নতুন বসতি অনুমোদন ইসরায়েলের
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে ১৯টি ইহুদি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।
দেশটির কট্টর ডানপন্থি রাজনীতিক ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্মোতরিচ বলেন, তিনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের কাছে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন, যা গতকাল অনুমোদন পেয়েছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবিত স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার।
উল্লেখ্য, স্মোতরিচ নিজেও পশ্চিম তীরে বসবাসকারী একজন দখলদার বসতিস্থাপনকারী। পশ্চিম তীরের যেসব এলাকায় ইসরায়েলি সেটলাররা বসবাস করছেন, সেখানকার একজন বাসিন্দা তিনি নিজেই।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে সৌদি আরব। পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পশ্চিম তীরে দখলদার বসতি সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে এবং একই সঙ্গে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে গুরুতর হুমকির মুখে ফেলছে।
দশকের পর দশক ধরে আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে ধাপে ধাপে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে দখল বিস্তার করে আসছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বর্তমান মেয়াদে এই প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে সরকার গঠনের পর থেকে প্রায় তিন বছরে পশ্চিম তীরে ইহুদি আবাসন প্রকল্পের সংখ্যা ১২৮টি থেকে বেড়ে ১৭৮টিতে পৌঁছেছে, যা প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই হিসাব নতুন করে অনুমোদিত ১৯টি বসতি যুক্ত হওয়ার আগের। সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে গত তিন বছরে পশ্চিম তীরে অনুমোদিত নতুন ইসরায়েলি বসতির সংখ্যা দাঁড়াবে ৬৯টিতে। স্মোতরিচ বিবিসিকে আরও বলেন, নেতানিয়াহুর সরকার ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ধারণাকে পুরোপুরি “কবর দেওয়ার” লক্ষ্যেই এগোচ্ছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতি স্থাপনবিরোধী ইসরায়েলি সংগঠন পিস নাও জানিয়েছে, বর্তমানে পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতির সংখ্যা প্রায় ১৬০টি। এসব বসতিতে আনুমানিক ৭ লাখ ইসরায়েলি নাগরিক বসবাস করছেন।
১১৭ বার পড়া হয়েছে