দিপু হত্যাকাণ্ড: ধর্ম অবমাননার প্রমাণ মেলেনি, ১০ জন গ্রেফতার
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:১৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) হত্যাকাণ্ডে ধর্ম অবমাননার অভিযোগের কোনো স্পষ্ট প্রমাণ পায়নি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মামলার পর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার্স নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার ফ্লোর ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন (৩৮), কোয়ালিটি ইনচার্জ মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)সহ কারখানার কয়েকজন শ্রমিক। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় অবস্থানরত আরও কয়েকজনকেও আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-১৪ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান জানান, ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে কারখানার ভেতরে। ওই সময় ফ্লোর ইনচার্জ দিপু চন্দ্র দাসকে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে উত্তেজিত জনতার কাছে তুলে দেন। পুলিশে হস্তান্তর না করা এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত না করায় সংশ্লিষ্ট দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
র্যাব অধিনায়ক আরও বলেন, ধর্ম অবমাননার অভিযোগটি অস্পষ্ট। কী বলা হয়েছিল—এ বিষয়ে কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। ব্যক্তিগত বিরোধ বা অন্য কোনো কারণ ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগ তুলে দিপু চন্দ্র দাসকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে নিহতের ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশও পৃথকভাবে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
১১৯ বার পড়া হয়েছে