আসন্ন জাতীয় নির্বাচন: আজ অথবা কাল তফসিল ঘোষণা, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:২৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিল ঘোষণার সকল আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আজ (বুধবার) অথবা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং বাংলাদেশ বেতার-এ রেকর্ড করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিইসির এই ভাষণেই ঘোষণা করা হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ও ভোটগ্রহণের তারিখ।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ৫, ৮ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারিকে সবচেয়ে এগিয়ে দেখছে কমিশন। বিকল্প তারিখ হিসেবে ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারিও বিবেচনায় রয়েছে। গোপনীয়তা বজায় রেখে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রস্তুত করেছে।
মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টার একান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, চলতি সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার দুপুরে বলেন, 'ইসির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। তফসিল ঘোষণা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।' তিনি জানান, আসন বিন্যাস, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রজ্ঞাপন, মোবাইল কোর্ট ও ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি, মনিটরিং সেলসহ প্রায় ২০ ধরনের পরিপত্রের খসড়া তৈরি রাখা হয়েছে।
একই দিন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান জানান, তফসিল ঘোষণার আগে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ইসির দায় নয়। তফসিল ঘোষণার পরই কমিশনের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, চূড়ান্ত পোস্টাল ব্যালটে নিষিদ্ধ বা স্থগিত কোনো দলের প্রতীক থাকবে না।
ইসির এক কর্মকর্তা জানান, ভোটগ্রহণের পর ভোট স্থগিত হওয়া কেন্দ্রগুলোতে পুনঃভোট নেওয়ার জন্য রোজার আগে অন্তত এক সপ্তাহ সময় রাখতে চায় কমিশন। এছাড়া গেজেট প্রকাশ ও নতুন সরকার গঠনের কাজও যেন রমজানের আগে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়টিও বিবেচনায় আছে।
২০২৫ সালে পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১৮ বা ১৯ ফেব্রুয়ারি। আর শবে বরাতের সম্ভাব্য তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোটগ্রহণ করা যৌক্তিক বলে মনে করা হচ্ছে।
১১৪ বার পড়া হয়েছে