ডিসেম্বরে বাড়ছে শীতের দাপট, দ্বিতীয়ার্ধে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:৩০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
অগ্রহায়ণ মাস শেষ হতে এখনও কয়েক দিন বাকি থাকতেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়ছে।
বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা দ্রুত কমে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে শীতের অনুভূতি আরও স্পষ্ট হয়েছে। রোববার দেশের অন্তত ১১টি জেলায় তাপমাত্রা নেমেছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। কয়েকটি স্থানে তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ায় তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এখন পর্যন্ত এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলেও ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমেছে। এছাড়া কুমিল্লা, নওগাঁর বদলগাছী, গোপালগঞ্জ, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি।
পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, দেশের বেশিরভাগ এলাকায় রাতের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আরও বাড়ছে। সাধারণত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বা এর নিচে নেমে গেলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু বলে ধরা হয়। ৮-১০ ডিগ্রি মৃদু, ৬-৮ ডিগ্রি মাঝারি এবং ৪-৬ ডিগ্রি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আবহাওয়াবিদরা জানান, ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দুই দফা শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে, যার তীব্রতা হতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি। অর্থাৎ এই সময় তাপমাত্রা নেমে ১০ থেকে ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও তা স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, '১৫ ডিসেম্বরের পর শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। গত বছরের তুলনায় এ বছরের শীতের তাপমাত্রা প্রায় একই থাকবে।'
এদিকে আগামী পাঁচ দিনে দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ভোরবেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
১২১ বার পড়া হয়েছে