সিটি স্ক্যান সম্পন্ন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:১৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রোববার তাঁর সিটি স্ক্যানসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়, যেগুলোর রিপোর্ট সন্তোষজনক এসেছে। ফলে বিদেশে নেওয়ার বদলে দেশে থেকেই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না- সে বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করছে মেডিকেল বোর্ড।
বোর্ডের এক চিকিৎসক সমকালকে জানান, খালেদা জিয়া আগের তুলনায় ভালো আছেন এবং দেশের চিকিৎসাতেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন বলে তাঁদের বিশ্বাস। তিনি বলেন, 'আগে এর চেয়েও গুরুতর অবস্থায় থেকেও তিনি সেরে উঠেছেন। লন্ডনে নেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে। সিটি স্ক্যান ও ইসিজিসহ সব পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো এসেছে।'
কতদিন তাঁকে সিসিইউতে রাখা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ওই চিকিৎসক জানান, শারীরিক অগ্রগতির ওপর সময়সীমা নির্ভর করবে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা সমন্বিতভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান শয্যাপাশে থেকে পুরো চিকিৎসা কার্যক্রম তদারক করছেন।
চিকিৎসকের ভাষ্য মতে, খালেদা জিয়া কিছুটা কথা বলারও চেষ্টা করছেন এবং পরিবারের সদস্যরা সার্বক্ষণিক তাঁর পাশে আছেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী জানান, মেডিকেল বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেই তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে। কাতার সরকারের পক্ষ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা থাকবে বলেও তিনি জানান।
আগে জানানো হয়েছিল, কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে শুক্রবার ফ্লাইট ছাড়ার কথা থাকলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে তা পিছিয়ে যায়। পরে জানানো হয়, বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছে কাতার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ভিভিআইপি শিডিউল অনুমোদন করেছে। বেবিচকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পৌঁছাবে এবং পরদিন লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ল্যান্ডিং থেকে টেকঅফ পর্যন্ত সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন তিনি। ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর চিকিৎসায় অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড কাজ করছে।
১২৮ বার পড়া হয়েছে