পঞ্চগড়ে টানা দুইদিনের শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:১০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
টানা দুইদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড় জেলা। উত্তর দিক থেকে নেমে আসা হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।
ভোর থেকে শুরু হওয়া ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ এবং ছিন্নমূলরা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় সন্ধ্যার পর জনসমাগম কমে গেছে। কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকায় যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। গ্রামীণ এবং ছিন্নমূল মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। মাঠের কৃষিকাজও ব্যাহত হচ্ছে তীব্র শীতের কারণে।
এদিকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ বিভিন্ন সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকরা গরম কাপড় পরা, গরম খাবার খাওয়া এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
রৌশনাবাগ এলাকার রাজমিস্ত্রি আক্তার হোসেন বলেন, “রাত থেকে প্রচণ্ড ঠান্ডা। সকালে কাজ করতে গিয়ে হাত-পা জমে যাচ্ছে। কাজ না করলে পরিবার চলবে না, তাই কষ্ট করেই নামতে হচ্ছে।”
উপজেলা সদরের ভ্যানচালক জাফর আলী বলেন, “সকালে ভ্যান নিয়ে বের হওয়া যায় না। উত্তরের হিমেল বাতাসে গা কাঁপছে। ভ্যান চালানোই কষ্টকর হয়ে গেছে।”
আবহাওয়া কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৯ শতাংশ থাকায় শীত আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে নেমে আসা হিমেল বাতাসে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে এবং সামনে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৬৭ বার পড়া হয়েছে