বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলা: হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার নিহত
সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের পরিচালিত বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক নেতা হায়সম আলী তাবাতাবাই নিহত হয়েছেন।
রবিবার দাহিয়েহ এলাকায় হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত এক আবাসিক ভবনে এই হামলা চালানো হয়। এতে তাবাতাবাইসহ কমপক্ষে পাঁচজন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন বলে লেবানন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
আল জাজিরা জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র দুটি হারেত হ্রেইক এলাকার একটি ভবনে আঘাত হানার ফলে ভবন, পার্কিং এলাকা ও আশপাশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে তাবাতাবাইয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তাকে ‘মহান কমান্ডার’ হিসেবে উল্লেখ করে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা তাবাতাবাইকে নিষ্ক্রিয় করতে সফল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, এই হামলার প্রধান লক্ষ্যই ছিলেন হিজবুল্লাহর এই উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, গত বছরের যুদ্ধের পর এটি ছিল তাকে হত্যার তৃতীয় প্রচেষ্টা।
হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ নেতা মাহমুদ ক্বোমাতি এই হামলাকে রেড লাইন অতিক্রম- হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সংগঠনটি পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাবে কি না, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
বৈরুত থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জেইনা খোদর জানান, ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলা লেবাননে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। তার মতে, হিজবুল্লাহ এখন কঠিন দ্বিধায় পড়েছে-প্রতিক্রিয়া দেখালে বড় ধরনের ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি রয়েছে, আর নীরব থাকলে তাদের দুর্বলতা প্রকাশ পাবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক আলি রিজক বলেন, হিজবুল্লাহ সরাসরি শক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে চাইবে না, কারণ এতে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিকভাবে লাভ হতে পারে এবং লেবাননের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
১৯৬৮ সালে বৈরুতে জন্ম নেওয়া তাবাতাবাইয়ের মা লেবানিজ ও বাবা ইরানি। তিনি অল্প বয়সেই হিজবুল্লাহতে যোগ দেন এবং পরে সংগঠনের সামরিক কাঠামোয় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছান।
১৪৮ বার পড়া হয়েছে