গাজায় ইসরাইলের ব্যাপক হামলা, একদিনে নিহত ৩৩
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫ ৩:২০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় একদিনে আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সূত্রগুলো।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরও চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজা সিটি ও খান ইউনূস উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ধরনের আগ্রাসন পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে বলে মন্তব্য করে ইসরাইলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরাইলি অভিযানে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবারের অভিযানে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হন। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামাসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চলতি বছর জেনিন, তুলকারেম ও নুর শামস শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ ধরনের জবরদস্তিকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে ‘ইয়েলো লাইন’ এলাকায় তেল আবিবমুখী একটি রকেট লঞ্চার এবং বড় অস্ত্রভাণ্ডার জব্দের দাবি করেছে ইসরাইলি সেনারা। একইসঙ্গে উপত্যকার পূর্বাঞ্চলে ‘ইয়েলো লাইন’ সীমা ৩০০ মিটার বাড়িয়ে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলেও জানানো হয়েছে।
গাজার গণমাধ্যম কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, ট্যাঙ্কসহ ইসরাইলি সেনারা গাজা সিটির পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মধ্যস্থতাকারী ও নিশ্চয়তাদাতাদের নীরবতা আর গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে কাতার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এমন কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যেতে পারে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগের মাধ্যমে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
১১৭ বার পড়া হয়েছে