কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, নিহত ৩
বৃহস্পতিবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ৩:১৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় মণ্ডল গ্রুপের নিহত আমান মণ্ডলের বাবা মিনহাজ মণ্ডল বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় চরমপন্থি নেতা কাকন বাহিনীর প্রধান কাকনসহ ২৩ জনকে নাম উল্লেখ এবং ২০-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় মণ্ডল বাহিনী ও কাকন বাহিনীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত এবং আরও দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিকটস্থ বাঘা থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ গুলির খোসা, কয়েকটি তাজা গুলি ও রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে এলাকা কোন থানার অধীনে তা নির্ধারণ করতে রাজশাহী ও খুলনা রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একদিন মাঠে থাকেন। পরে তা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতায় নির্ধারিত হয়।
নিহতরা হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচ খানপাড়া এলাকার আমান মণ্ডল (৩৬) ও নাজমুল মণ্ডল (২৬)। তারা মূলত কুষ্টিয়ার মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অস্থায়ীভাবে বাঘায় বসবাস করছিলেন। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পদ্মা ঘাট থেকে লিটন (৩০) নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পাবনা নৌ পুলিশ। লিটনের মরদেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ জানান, পদ্মার চরাঞ্চল দুর্গম হওয়ায় এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযানে পুলিশ রয়েছে।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থলের সীমানা নিয়ে জটিলতা ছিল, আমরা সরেজমিনে তা নির্ধারণ করেছি। ঘটনাস্থল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আওতাধীন। এখানে বিপুল পরিমাণ গুলির খোসা ও রক্তাক্ত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, কাকন বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া, পাবনা, রাজশাহী, বাঘা ও নাটোরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
১০৯ বার পড়া হয়েছে