সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

নেপালে অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভায় নতুন দুই মন্ত্রী যুক্ত, বিতর্ক অব্যাহত

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ ৫:২৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশিলা কার্কি তৃতীয়বারের জন্য তার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেছেন। নতুন দুই মন্ত্রী যোগ হওয়ায় মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মন্ত্রিসভা সর্বোচ্চ ১১ সদস্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল শীতল নিবাসে রোববার স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রী হিসেবে সুদা শর্মা গৌতম এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে বাবলু গুপ্তকে শপথবাক্য পাঠ করান।

সুদা শর্মা একজন অভিজ্ঞ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত নেপালের স্বাস্থ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং অবসর নেওয়ার পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি দুটি বই লিখেছেন, যার মধ্যে একটি সরকারি আমলাতন্ত্রে তার অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে।

অন্যদিকে, ২৮ বছর বয়সী সমাজকর্মী বাবলু গুপ্ত ‘হান্ড্রেড গ্রুপ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালান, যেখানে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা, আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। তিনি গত সেপ্টেম্বরে দুর্নীতিবিরোধী ‘জেন জি’ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

তবে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী প্রথমে চারজনের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য নাম প্রেরণ করেছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে মাত্র দুইজনই শপথ নেন। দলিত অধিকারকর্মী খগেন্দ্র সুনার এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণকর্মী গণপতি লাল শ্রেষ্ঠার নাম বাদ দেওয়া হয়।

সুনারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও পলাতক থাকার কারণে তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, শ্রেষ্ঠা ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে মন্ত্রণালয় বণ্টন নিয়ে মতবিরোধ থাকায় তার নামও বাদ দেওয়া হয়েছে। শ্রেষ্ঠা সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব ছিল ভূমি, সমবায় ও দারিদ্র্য বিমোচন মন্ত্রণালয়।

এর আগে, ২২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণেও বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে সংগীতা মিশ্রার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় তার নাম প্রত্যাহার করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অজয় ভদ্র খানাল জানিয়েছেন, মন্ত্রিপরিষদ গঠনের প্রতিবার বিতর্ক সৃষ্টি হয় কারণ কোনো যাচাই-বাছাই বা ভেটিং ব্যবস্থা নেই।

সরকারি সূত্র বলছে, ভবিষ্যতে মন্ত্রণালয় বণ্টন নিয়ে সমঝোতা হলে শ্রেষ্ঠাকে মন্ত্রিসভায় ফেরানো হতে পারে। তবে খগেন্দ্র সুনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা, বহুবিবাহ ও সরকারি স্থাপনা ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা চলমান থাকায় তার শপথ নিয়োগ বাতিল হয়েছে।

১০৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন