ইসরায়েলের বিমান হামলায় কাঁপল ইয়েমেনের রাজধানী, নিহত ৬

সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ ৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গাজায় চলমান অভিযান ও হুথি বিদ্রোহীদের পাল্টা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
রোববারের এ হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত এবং আরও ৮৬ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্র। খবর আল জাজিরার।
হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভির বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী সানার একটি তেল স্থাপনা ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা রাজধানীর একটি প্রেসিডেন্ট ভবনকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে।
হুথি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারা ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল। সেই হামলার জবাব হিসেবেই এই বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
তবে হুথি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আবেদ আল-থাওর দাবি করেছেন, ইসরায়েল যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে সেগুলো সামরিক নয়, বরং বেসামরিক অবকাঠামো। প্রেসিডেন্ট ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। হামলাকে “বর্বরতা” হিসেবে আখ্যা দেন আল-থাওর।
হুথি বাহিনীর একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেন, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ হামলাকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
আল জাজিরার প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হামলার পর সানার আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও আগুন জ্বলছে।
এদিকে হুথি নেতা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি বলেন, “ইসরায়েলের এই আগ্রাসন আমাদের গাজার পক্ষে অবস্থান থেকে সরাতে পারবে না।” হামাস এক বিবৃতিতে ইয়েমেনের এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একে আরব সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুথি বিদ্রোহীদের বারবার হামলার জবাবে তারা এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। এতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরও বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
১৩৪ বার পড়া হয়েছে