ভোলাগঞ্জে পাথর লুট: হাইকোর্টে রিট, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে আবেদন

বৃহস্পতিবার , ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ৬:২৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর থেকে নির্বিচারে পাথর উত্তোলনের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর একেএম নূরুন নবী এ রিট দায়ের করেন। তিনি জানান, পাথর লুটপাটের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালী মহলের সম্পৃক্ততা তুলে ধরে দ্রুত তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্রসচিব, পরিবেশ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সিলেটের জেলা প্রশাসক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইউএনওসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সাদা পাথর এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন এবং অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর পুনরায় স্থানান্তরের ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে, বুধবার রাতে সিলেট জেলা প্রশাসনের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকাতে এবং চুরি হওয়া পাথর পুনরুদ্ধারে পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো:
১. জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদা পাথরে ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
২. গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্টে যৌথ বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
৩. অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেগুলো বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হবে।
৪. পাথর চুরির সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
৫. চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করে সরকার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালী মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় সাদা পাথরসহ বিভিন্ন এলাকায় ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে পাথর লুটের চক্র।
স্থানীয়দের অভিযোগ, লাগাতার এ লুটপাটে ধ্বংস হচ্ছে অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, হুমকির মুখে পড়েছে দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প।
১৩৩ বার পড়া হয়েছে