রাজনীতি

ভাড়া করা লোক দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয় : মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মৌলিক সংস্কার সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তাঁর মতে, কয়েকজন ব্যক্তিকে বিদেশ থেকে এনে বৈঠক করে সংস্কার করার ভাবনা অবাস্তব ও অযৌক্তিক।

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে 'জুলাই বিপ্লব: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, “অনেকেই ভাবছেন, কিছু লোক মিলে বৈঠক করে সংস্কার করলেই রাষ্ট্র বদলে যাবে। এভাবে সংস্কার হয় না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি চলমান প্রক্রিয়া, যার জন্য কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার।”

তিনি আরও বলেন, “আপনি আজ সিদ্ধান্ত নিলেন আর কাল থেকেই পুলিশ ঘুষ খাওয়া বন্ধ করে দেবে—এমনটা ভাবার সুযোগ নেই। কাঠামোকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে ঘুষ নেওয়ার পরিবেশই না থাকে। আমাদের আমলাতন্ত্রও এখন উন্নয়নের পথে বড় বাধা। এই নেগেটিভ ব্যুরোক্রেসিকে পজিটিভ ব্যুরোক্রেসিতে রূপান্তর করতে হবে, আর এজন্য জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাই মূল কাজ।”

নির্বাচনের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি কার্যকর নির্বাচন প্রয়োজন। “বিদেশ থেকে কয়েকজনকে এনে দিয়ে দেশ চালানো সম্ভব নয়। এটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে,” বলেন তিনি।

সংখ্যানুপাতিক বা পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতির নির্বাচন নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এ পদ্ধতির সঙ্গে বাংলাদেশের বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। সাধারণ মানুষ এটা বোঝেই না। যে জিনিস দেশের জনগণ বোঝে না, তা নিয়ে অযথা আলোচনা করা অর্থহীন।”

সভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সততা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “সততা ছাড়া বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে না। আজকাল কিছু নেতাকর্মীর কর্মকাণ্ড পত্রিকায় উঠে আসছে, যা দল এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শের সঙ্গে যায় না।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “জামায়াত নেতারা আজ বিএনপির বিরুদ্ধে নানা জায়গায় বক্তব্য দিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর বদলে সহনশীল আচরণের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।”

সভায় আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হাওলাদার, মহাসচিব এমতাজ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আলীমুজ্জামান, আবদুল্লাহিল মাসুদ, মনোয়ার ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, নাজির আহমেদ, শহীদুল হক এবং শরীফুজ্জামান খান প্রমুখ।

১৪৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন