সর্বশেষ

জাতীয়জাতির উদ্দেশে ভাষণ: ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর: সিইসি
২২ জানুয়ারি থেকে শুরু সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরু
প্রধান বিচারপতির হাতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের উদ্বোধন
মা-মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মীর ৬ দিন, স্বামীর ৩ দিনের রিমান্ড
হজযাত্রীদের বিমান টিকিটে আবগারি শুল্ক ছাড় দিলো এনবিআর
ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসে ২১ দিনের জন্য ভিসা সেবা বন্ধ
সারাদেশতানোরে নলকূপের পাইপ থেকে শিশু উদ্ধার, হাসপাতালে মৃত ঘোষণা
আবারও ভূমিকম্প, ৫ মিনিটের ব্যবধানে দু'বার কেঁপেছে সিলেট
মীরসরাইয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
আন্তর্জাতিকমিয়ানমারে হাসপাতালে বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩১ নিহত
ট্রাম্পের ‘গোল্ড কার্ড’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা
খেলারদ্রিগোর গোলেও ম্যানসিটির কাছে হার রিয়াল মাদ্রিদের
জাতীয়

ঢাকা ৩০০ ফিট মহাসড়কে রোলস-রয়েস দুর্ঘটনা: যা নিয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫ ৯:০৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ঢাকার ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়েতে সম্প্রতি ১৯ জুলাই, ২০২৫ মস্কো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ বিল্লাহর মালিকানাধীন রোলস-রয়েস স্পেক্টার মডেলের একটি বিলাসবহুল গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, যা জনমনে আবারও প্রশ্ন তৈরি করেছে—বাংলাদেশে এ ধরনের গাড়ি কতটা প্রযোজ্য ও যৌক্তিক।

গাড়িটির আনুমানিক মূল্য ছিল ১৪-১৫ কোটি টাকা, যা দেশের গড় নাগরিকের আর্থিক সামর্থ্যের চেয়ে অসাধারণভাবে বেশি। রোলস-রয়েসের মতো বিলাসবহুল গাড়ি বাংলাদেশের ধনী ব্যবসায়ী ও উচ্চবিত্ত সমাজের জন্য একটি status symbol হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের বর্তমান অবকাঠামো, যানজট ও অনিয়ন্ত্রিত ট্র্যাফিক-নিয়মের মধ্যে এই ধরনের দামী ও দ্রুতগামী গাড়ির ব্যবহার বাস্তবে সীমাবদ্ধ বা অনেকক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ।


উল্লেখিত দুর্ঘটনাক্রান্ত গাড়িটি ছিল সম্পূর্ণ নতুন ও এখনও স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের আওতাভুক্ত নয়; শুধুমাত্র অস্থায়ী AFR নম্বরপ্লেট ছিল। এটি আইন অনুযায়ী অবৈধ, কারণ বাংলাদেশের মোটরযান আইনে রাস্তায় নামার পূর্বে স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন ও ইন্সুরেন্স বাধ্যতামূলক। এমনকি এই ধরনের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়লে আইনি ও আর্থিক ঝামেলা আরও বাড়ে, ইন্সুরেন্স ও কাগজপত্রের সুষ্ঠু উপস্থিতি না থাকলে মালিক ও জনসাধারণ উভয়ের জন্য ক্ষতির কারণ হয়।

বাংলাদেশে বিলাসবহুল গাড়ি চলাচল প্রযুক্তিগতভাবে সম্ভব হলেও এর পরিবেশ এখনো উপযুক্তভাবে তৈরি হয়নি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। রাস্তার মান, সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যথাযথ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াও টেকসই আইন প্রয়োগ না থাকলে এ ধরনের যানবাহন কেবল ‘টাকার গরম’ বা সামাজিক প্রতিযোগিতার অংশেই সীমাবদ্ধ থাকে। বাস্তবে দেখা যায়, এই গাড়ির বড় একটি অংশই অসংখ্য ট্যাক্স, শুল্ক এবং প্রশাসনিক জটিলতা ডিঙিয়ে আসলেও আইনি ও সামাজিক দিক থেকে যথাযথভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না।


সাম্প্রতিক আলোচিত এই দুর্ঘটনা জনমানসে ন্যায্যতা, নিরাপত্তা ও আইনের সমান প্রয়োগ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—দেশে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহারের ন্যায়সংগততা আসলেই কি আছে? নাকি তা উচ্চ শ্রেণির একটি সীমিত গোষ্ঠীর অত্যধিক বিলাস ও সচেতনতার অভাবের প্রতীক?

৫৫৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন