শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত গ্রেফতার : সেনানিবাসে সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিআর

মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫ ১:৪৭ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা নজরদারি ও পরিকল্পনার পর কুষ্টিয়া ও ঢাকার হাতিরঝিল এলাকায় আলাদা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে দেশের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী এবং আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদকে। অভিযানে আরও গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের দুই সহযোগীকে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী।
তিনি জানান, ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া এই যৌথ অভিযানে ৪৬ স্বতন্ত্র ইনফেন্ট্রি ব্রিগেডের একটি ইউনিট অংশ নেয়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই সাঁড়াশি অভিযানে সংঘর্ষ ছাড়াই সফলভাবে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী, আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ এবং তাদের সহযোগী দুইজন- শ্যুটার আরাফাত ও গাড়িচালক শরীফ।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার সোনার বাংলা রোডে ভোর সোয়া ৫টায় প্রথম অভিযান চালিয়ে সুব্রত ও মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে ভিত্তি করে সকাল ৭টার দিকে ঢাকার হাতিরঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরাফাত ও শরীফকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী জানান, সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ দেশের তালিকাভুক্ত ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম এবং ‘সেভেন স্টার’ সন্ত্রাসী চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, চাঁদাবাজি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
তিনি আরও বলেন, “এই অভিযান অত্যন্ত সুনিপুণভাবে পরিচালিত হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এটি আমাদের সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার একটি অনন্য উদাহরণ।”
অভিযানে সেনা সদরের সামরিক অপারেশন পরিদপ্তর, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড, ৭১ মেকানাইজ ব্রিগেড এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) সমন্বিতভাবে সহায়তা প্রদান করে।
সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদ বা সন্দেহজনক কোনো কর্মকাণ্ডের তথ্য থাকলে তা নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। সেনাবাহিনী প্রধানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জনগণের জানমালের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
১৭৫ বার পড়া হয়েছে