গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা শীত ও বৃষ্টির মুখে বিপন্ন, ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত
সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৭:৪২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দুই বছরের ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজার বেশির ভাগ অংশ ধ্বংস হয়েছে। এখন হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি শীতকালীন বৃষ্টিতে ভিজছে। শনিবারও উপত্যকাজুড়ে ভারী বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসের খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়াবিদ লাইথ আল-আল্লামি জানিয়েছেন, এই শীতে এটি গাজায় তৃতীয় মেরু নিম্নচাপ, এবং সোমবার থেকে চতুর্থ নিম্নচাপ আঘাত হানতে পারে।
এই মাসের শুরুতে ভারী বৃষ্টির কারণে তাঁবু ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হয়। ইসরায়েলি হামলায় বহু ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত ও ঠান্ডায় কমপক্ষে ১৫ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে তিন শিশুও রয়েছেন। গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে।
গাজার আল-বালাহ এলাকায় উত্তরের জাবালিয়া থেকে বাস্তুচ্যুত চার সন্তানের মা শাইমা ওয়াদি বলেন, 'আমরা দুই বছর ধরে এই তাঁবুতে বাস করছি। বৃষ্টির সময় প্রতিবার তাঁবু ভেঙে পড়ে, আর নতুন কাঠ দিয়ে তা মেরামত করার চেষ্টা করি। খাবার, কাপড় ও বাচ্চাদের জন্য ঘুমানোর মাদি কিনতেও আমরা দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি।'
গাজার শহরে বসবাসরত বাস্তুচ্যুত মোহাম্মদ মাসলাহ জাজিরা বলেন, 'আমার বাড়ি ইসরায়েলি সেনাদের দ্বারা ধ্বংস হয়েছে। তাই তাঁবুতে বাস করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।'
গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি গুলিতে চারজন নিহত এবং ২৫ জন আহতকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েল কমপক্ষে ৪১৪ জনকে হত্যা করেছে। দুই বছরের মধ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১,২৬৬ জন।
এদিকে, গাজায় পরিস্থিতির তীব্রতার মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন। সোমবার তিনি ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আলোচনায় গাজা এবং ইরান বিষয়ও উঠতে পারে।
আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, লন্ডনে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ‘ওয়ান্টেড’ পোস্টার ছেপেছে। পোস্টারে লেখা আছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ২০২৪ সালের নভেম্বরে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অন্যদিকে ফ্রান্সে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে।
১২০ বার পড়া হয়েছে