তারেক রহমানের গণসংবর্ধনাস্থলে নেতা–কর্মীদের ঢল
বৃহস্পতিবার , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:১৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীর পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট এলাকা) গণসংবর্ধনাস্থলে সকাল থেকেই বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরের পর থেকেই রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে হেঁটে হেঁটে গণসংবর্ধনাস্থলে আসতে থাকেন বিএনপির নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা। সকাল আটটার দিকে পুরো এলাকা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে। এ সময় ‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’, ‘তারেক রহমান আসছে, বাংলাদেশ হাসছে’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায় তাঁদের।
গণসংবর্ধনা উপলক্ষে কুড়িল মোড় থেকে শুরু করে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন অংশে রাস্তার দুই পাশে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার টাঙানো হয়েছে। কুড়িলসংলগ্ন সড়কের উত্তর পাশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠের তৈরি ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ ফুট প্রস্থের একটি মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের জন্য আসন রাখা হয়েছে।
গণসংবর্ধনাস্থলে নেতা–কর্মীদের জন্য মূল মঞ্চের কার্যক্রম সরাসরি দেখার সুবিধার্থে একাধিক ইলেকট্রনিক স্ক্রিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে স্থাপন করা হয়েছে শতাধিক মাইক।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো এলাকাজুড়ে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। মঞ্চের দুই পাশে নিরাপত্তা বাহিনীর অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির নেতা শোয়াইব আহমেদ সোহেল বলেন, “দীর্ঘদিন পর আমাদের নেতা দেশে ফিরছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের মুক্তির প্রত্যাশা করছি।”
দলীয় সূত্র জানায়, আজ বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি গণসংবর্ধনাস্থলে যাবেন। সেখানে সংবর্ধনা শেষে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সপরিবার যুক্তরাজ্যে যান তিনি। এরপর দীর্ঘ সময় সেখানেই অবস্থান করেন।
১১৮ বার পড়া হয়েছে