১১ মাসেই কোরআন হিফজ: কুয়াকাটার ১০ বছরের মারজুকা এখন হাফেজা
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:০২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত এক পরিবারে জন্ম নেওয়া দুই সন্তানের মধ্যে বড় মোসাঃ মারজুকা। ছোটবেলা থেকেই অসাধারণ মেধার পরিচয় দিয়ে আসা এই শিশুটি মাত্র ১০ বছর বয়সে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
কুয়াকাটার আলিপুর আল হুদা মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর নাজেরা শেষ করে মাত্র ১১ মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ সম্পন্ন করে বর্তমানে সেখানে শুনানি দিচ্ছে মারজুকা। তার এই সাফল্যে শিক্ষক, পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে প্রশংসার জোয়ার বইছে।
মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী ভোরের আগে নামাজ শেষে শিক্ষার্থীদের তালিম শুরু হয়। অন্য শিক্ষার্থীদের তুলনায় মারজুকার পড়াশোনার ধরণ ছিল ব্যতিক্রম। তার অদম্য মেধা ও আগ্রহের কারণে প্রতিদিনই অতিরিক্ত মুখস্থ পড়া দিতেন তিনি। চলতি বছরে মাদ্রাসা থেকে মোট দশজন হাফেজার বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়, যার মধ্যে কনিষ্ঠ হাফেজা ছিলেন মারজুকা।
হাফেজা মারজুকার বাবা হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, 'আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে সে ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষের মাঝে দ্বীনি শিক্ষা ছড়িয়ে দেবে এবং কোরআনের আলো পৌঁছে দেবে-এটাই আমার স্বপ্ন।'
নিজের অনুভূতি জানিয়ে শিশু মারজুকা বলে, 'আমি ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বড় আলেমা হতে চাই।'
আল হুদা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক বশির আহমেদ বলেন, 'আলহামদুলিল্লাহ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে মারজুকাই আমাদের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রী। অল্প সময়েই সে যে কোনো পাঠ মুখস্থ করতে পারত। আমরা তার জন্য দোয়া করি, সে যেন একজন আদর্শ হাফেজা হয়ে ভবিষ্যতে আরও সাফল্য অর্জন করতে পারে।'
মাত্র ১০ বছর বয়সে ১১ মাসে কোরআন হিফজ করা এই কনিষ্ঠ হাফেজা ভবিষ্যতে উপকূলীয় অঞ্চলের অসহায় মানুষের মাঝে বিশ্বগ্রন্থ আল কোরআনের বাণী ছড়িয়ে দিতে চায়। এ লক্ষ্যে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে তার পরিবার।
১২১ বার পড়া হয়েছে