রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তায় আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের আবেদন বাড়ছে
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬:০৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দেশে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ও অস্ত্র লাইসেন্স চাওয়ার আবেদন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে ১৫ জন রাজনীতিবিদ এবং প্রায় ২৫ জন সরকারি কর্মকর্তা বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের জন্য সার্বক্ষণিক গানম্যান এবং বাসভবনের নিরাপত্তা দিতে সশস্ত্র পুলিশ সদস্য মোতায়েনের আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহম্মেদ সেখের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা ও গানম্যানের আবেদন এসেছে।
নিরাপত্তা চাওয়ার এই প্রবণতা তীব্রতায় এসেছে ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায়। হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান। ঘটনার পর থেকে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা চাওয়া এবং সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের সংখ্যা বেড়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, 'ডালাওভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হলে অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কোন রাজনীতিবিদ বা সরকারি কর্মকর্তাকে লাইসেন্স দেওয়া হবে, তা বৈঠকে ঠিক করা হবে।'
রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স সংক্রান্ত ‘নীতিমালা-২০২৫’ ১৪ ডিসেম্বর জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালার মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য লাইসেন্স এবং সশস্ত্র রক্ষী নিয়োগের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, 'নিরাপত্তা কেবল অস্ত্রের মাধ্যমে আসে না। এটি আসে বিশ্বাসযোগ্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, পেশাদার পুলিশি ব্যবস্থা, রাজনৈতিক সহনশীলতা ও আইনের শাসন থেকে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে লাইসেন্স ও নিরাপত্তার বিষয়ও বিবেচনা করা যেতে পারে।'
বিভিন্ন রাজনীতিবিদ ও প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে আবেদন করছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা এবং ইসলামী আন্দোলনের নেতা রয়েছেন।
এনিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বৈঠক করতে যাচ্ছে, যাতে কারো চিহ্নিত বড় ধরনের ঝুঁকি থাকলে সেখানেই আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা যায়।
১১৮ বার পড়া হয়েছে