ফিলিস্তিনিসহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:৩২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি পাসপোর্টধারী ব্যক্তি এবং সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
নিষিদ্ধ দেশগুলো হলো- বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, সিয়েরা লিওন, লাওস ও সিরিয়া।
জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় ও জননিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানায়, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ক্ষেত্রে স্ক্রিনিং, যাচাই-বাছাই এবং তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়ায় ‘স্থায়ী ও গুরুতর ঘাটতি’ রয়েছে। এসব ঘাটতির কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বছরের ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
এর আগে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করে। ওই তালিকায় রয়েছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, বুরুন্ডি, শাদ, কিউবা, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন।
এদিকে, গত ৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম এক সাক্ষাৎকারে জানান, ট্রাম্প প্রশাসন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশের সংখ্যা বাড়িয়ে অন্তত ৩২টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে। তবে সে সময় বাকি ১৩টি দেশের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী সিডনির বন্ডি সমুদ্রসৈকতে সংঘটিত বন্দুক হামলায় ১৫ জন ইহুদি নিহত হওয়ার ঘটনার পর ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি আরোপ করা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য খুব একটা অপ্রত্যাশিত ছিল না।
তবে সিরিয়ার নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অনেকের কাছেই বিস্ময়কর। কারণ, অল্প কিছুদিন আগেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ শারা হোয়াইট হাউসে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। সাবেক আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট এই নেতার বিরুদ্ধে থাকা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ওই সফরের আগেই প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
১২০ বার পড়া হয়েছে