প্লট দুর্নীতি মামলায় শেখ রেহানার রায় আজ, পরিবারের কয়েক মামলার বিচার চলমান
সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪:১৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা পৃথক মামলার রায় আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম।
এই মামলায় শেখ রেহানাসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত গত ২৫ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিন মামলায় মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে পাঁচ বছর করে দণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।
শেখ রেহানার মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক হওয়ার মাত্র তিন দিন পরই এই বিচারিক কার্যক্রম সামনে আসে। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ১১টায় এ রায় ঘোষণা করা হবে।
একই প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত অভিযোগে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি) ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে পৃথক মামলার বিচারও চলছে। গত রবিবার আজমিনার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারিত থাকলেও আদালতের ব্যস্ততার কারণে সেদিন সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসময় একমাত্র আত্মসমর্পণকারী আসামি- রাজউকের সদস্য খুরশীদ আলম- কারাগার থেকে আদালতে হাজির হন। তিনি ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা, পুতুল ও সজীব ওয়াজেদের অপর তিন মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত।
শেখ রেহানার মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- রাদওয়ান মুজিব, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও রাজউকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর পূর্বাচল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়। পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ছয়টি প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ২০২৫ সালের মার্চে ছয়টি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আইন অনুযায়ী এসব মামলায় সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আসামিদের অনেকে পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করা হয়েছে বলে বিচার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারপ্রধানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হয়েও পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের কয়েকটি প্লট নিজেদের নামে নিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।
১১১ বার পড়া হয়েছে