সর্বশেষ

সারাদেশ

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হওয়ায় নরসিংদীতে বেশি ক্ষতি

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী প্রতিনিধি

শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, কম্পনের উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী এর কেন্দ্রস্থল নরসিংদী সদরের প্রায় ১৪ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে। গুগল ম্যাপ অনুসারে কেন্দ্রস্থল পলাশ উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের ডাংগা গ্রাম, যা ঘোড়াশাল পৌরশহরের নিকটবর্তী।

দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, ভূকম্পনে পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তায় বড় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। পাশের একটি গরুর খামারের মাটিও ধসে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বহু ভবনে ফাটল দেখা গেছে, কিছু বহুতল ভবন হেলে পড়েছে। ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে। শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর পুরোনো রেলসেতুতে দেখা দিয়েছে ফাটল।

স্থানীয় ডাংগা-কালীগঞ্জ খেয়াঘাটের মাঝি সুবাদ ভৌমিক জানান, ভূমিকম্পের সময় নদীর পানি আকস্মিকভাবে ওপরে উঠে প্রচণ্ড ঢেউ সৃষ্টি হয়। প্রথমে তা বুঝতে না পারলেও পরে জানা যায় এটি ভূমিকম্পের প্রভাব ছিল। তিনি বলেন, জীবনে এত তীব্র কম্পন আগে কখনও অনুভব করেননি।

পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, ভূমিকম্পের পর বিদ্যুৎকেন্দ্র, সার কারখানা ও সরকারি খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে খাদ্যগুদামে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দ্রুত চাল সরানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নরসিংদী সদরের গাবতলীতে পার্শ্ববর্তী একটি বহুতল ভবনের নির্মাণসামগ্রী একতলা বাড়ির ওপর ধসে পড়ে বাবা-ছেলেসহ দুজন নিহত হন। তাঁরা হলেন দেলোয়ার হোসেন (৩৭) ও তাঁর ছেলে ওমর ফারুক (৯)।

পলাশের মালিতা গ্রামে মাটির ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ে নিহত হয়েছেন কাজম আলী ভূঁইয়া (৭৫)। ভূমিকম্পের সময় তিনি ঘরে দুই নাতি-নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে ছিলেন। একই উপজেলায় স্ট্রোক করে মারা গেছেন নাসির উদ্দীন (৬৫)।

এ ছাড়া শিবপুর উপজেলার আজকিতলা গ্রামে গাছ থেকে পড়ে মারা গেছেন ফোরকান মিয়া (৩৫)। ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনিতে তিনি নিচে পড়ে যান এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

জেলার বিভিন্ন স্থানে এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে। প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

১১১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন