ভূমিকম্পে বন্ধ হয়ে যাওয়া সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আবার চালু
শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:১৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রভাবে শুক্রবার সকালে সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র হঠাৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত থাকলেও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার আগেই সবকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় চালু হয় বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
তবে বিভিন্ন এলাকায় এখনো সীমিত পরিসরে সরবরাহ বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেছে।
পিডিবির এক কর্মকর্তা জানান, ভূমিকম্পে কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদন সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়। তবে জরুরি মেরামত কাজ শেষে অধিকাংশ কেন্দ্র দ্রুতই স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসে।
দিনের শুরুতেই তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি হয় বলে সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক শামীম হাসান এক বিবৃতিতে জানান। তিনি বলেন, ভূমিকম্পজনিত কারণে উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জরুরি প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে বিবিয়ানা-২ (সামিট) ৩৪১ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ প্রিসন এনার্জির ৫৫ মেগাওয়াট, এবং আশুগঞ্জ টিএসকে’র ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি চট্টগ্রামের এসএস পাওয়ারের ৬০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিটও অচল হয়ে পড়ে। এছাড়া বিবিয়ানা-৩ এর ১৩৪ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ৭৫ মেগাওয়াট এবং সিরাজগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ৭৫ মেগাওয়াটের একটি করে ইউনিট উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
যদিও আরও কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, পরে তা আর ঘটেনি। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় লোডশেডিংয়ের ঝুঁকিও তেমন ছিল না।
অন্যদিকে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) জানিয়েছে, এখনও অনেক এলাকায় সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং সেগুলো দ্রুত পুনঃস্থাপনের কাজ চলছে।
ভূমিকম্পের প্রভাবে নরসিংদীর ঘোড়াশাল এআইএস গ্রিড সাবস্টেশনে আগুন ধরে যায় বলে জানা গেছে। এতে ইনসুলেটর, আইসোলেটর ও ব্রেকার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ২৩০, ১৩২ ও ৩৩ কেভি লাইনগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে বিকল্প লাইনের মাধ্যমে ওই এলাকায় পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।
১০৯ বার পড়া হয়েছে