সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজার জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনা পাস

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ ৬:৪৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুমোদন পেয়েছে। প্রস্তাবটি গ্রহণের মাধ্যমে গাজায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি ১৩টি দেশ সমর্থন করেছে—যেমন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোমালিয়া—কোনও দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়নি। রাশিয়া ও চীন ভোটে অংশগ্রহণ করেননি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র প্রস্তাবটি “যুদ্ধবিরতি দৃঢ় করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে হামাস প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের অভিযোগ, এটি ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ আন্দোলনের অধিকার ও দাবির প্রতি বিরূপ। হামাস টেলিগ্রামে জানিয়েছে, পরিকল্পনাটি গাজায় আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দেয়, যা তাদের জনগণ গ্রহণ করবে না।

প্রস্তাব অনুসারে, আইএসএফ সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং হামাসসহ সব অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে স্থায়ীভাবে নিরস্ত্র করতে সহায়তা করবে। আইএসএফ ইসরায়েল, মিসর এবং নতুনভাবে প্রশিক্ষিত ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করবে।

এছাড়া, নিরাপত্তা পরিষদ একটি অন্তর্বর্তীকালীন শাসন কাঠামো, বোর্ড অফ পিস (বিওপি) গঠনের অনুমোদন দিয়েছে। বোর্ডটি একটি প্রযুক্তিনির্ভর, অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটির তত্ত্বাবধানে গাজার পুনর্গঠন এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পুনর্গঠন অর্থায়ন বিশ্বব্যাংকের ট্রাস্ট ফান্ড থেকে আসবে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ জানিয়েছেন, আইএসএফ গাজার নিরাপত্তা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস এবং ফিলিস্তিনি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। ট্রাম্প এই ভোটকে “ঐতিহাসিক” হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলছেন, এটি বিওপিকে স্বীকৃতি দেয়ার পথ খুলেছে।

নতুন খসড়া প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্য পথও উল্লেখ রয়েছে। এটি কিছু সদস্য দেশের জোরালো দাবির ফল। তবে ইসরায়েল এখনও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের তীব্র বিরোধিতা করছে।

প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ), মিসর, সৌদি আরব এবং অন্যান্য আরব ও মুসলিম দেশ। পিএ বলেছে, শর্তগুলো তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা প্রয়োজন।

রাশিয়া ও চীন যদিও ভেটো প্রয়োগ করেননি, তারা প্রস্তাবের কাঠামো ও অংশগ্রহণ বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি ও আটক ব্যক্তিদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে।

১০৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন