সুপার টাইফুন ‘ফাং ওং’ এখন ঠিক কোথায় অবস্থান করছে
রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী সুপার টাইফুন ফাং ওং। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে এই টাইফুনটি সরাসরি আঘাত হানতে পারে দ্বীপ প্রদেশ ক্যাটানডুয়ানেসে।
ঝড়ের প্রভাবে ইতোমধ্যেই উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া শুরু হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, ঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ৯ লাখেরও বেশি মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনো উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে উঁচু স্থানে যেতে অনুরোধ করছেন।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রস্থলে ফাং ওং–এর বাতাসের বেগ ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার, আর দমকা হাওয়ার বেগ ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এই ঝড়ের ফলে ২০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
ক্যাটানডুয়ানেসের রাজধানী ভিরাকের বাসিন্দা এডসন ক্যাসারিনো (৩৩) বলেন, সকালের দিকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাতাসের শব্দে মনে হচ্ছে পুরো এলাকা কাঁপছে। ঢেউয়ের গর্জনে মনে হয় যেন ভূমিকম্প হচ্ছে।
ফিলিপাইনের বৃহত্তম দ্বীপ দক্ষিণ লুজনের সোরসোগন প্রদেশে স্থানীয়রা গির্জা ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। বাসিন্দা ম্যাক্সিন ডুগান বলেন, আমার বাড়ির কাছেই ঢেউ আছড়ে পড়ছে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছি।
এদিকে, টাইফুন ফাং ওং আঘাত হানার আগেই দেশটিতে এখনো পুনরুদ্ধার কাজ চলছে সাম্প্রতিক কালমায়েগি টাইফুনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে। ওই ঝড়ে কমপক্ষে ২২৪ জনের মৃত্যু ও বহু মানুষের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ফিলিপাইনের সেবু প্রদেশে উদ্ধার অভিযান ঝুঁকির কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
উদ্ধার কর্মকর্তা মাইরা ডেভেন বলেন, আমাদের টিমের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকেল ৩টার পর থেকে সব অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সেবুতে এখনো ৫৭ জন নিখোঁজ, তবে অনেক এলাকায় এখনো প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি, তাই এই সংখ্যা বাড়তে পারে।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই ধরনের টাইফুন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। উষ্ণ সমুদ্রপৃষ্ঠ ও আর্দ্র বায়ুমণ্ডল টাইফুনকে দ্রুত শক্তি সঞ্চয়ে সহায়তা করছে, ফলে বৃষ্টিপাতও বেড়ে যাচ্ছে।
১১১ বার পড়া হয়েছে