কানাডায় ভিসা বাতিলের উদ্যোগ: বাংলাদেশ ও ভারতীয়দের চাপে কানাডা
বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫ ৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কানাডা সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকদের অস্থায়ী ভিসা বাতিলের ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।
অভিবাসন বিভাগ এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (CBSA) মার্কিন সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ করছে, যাতে ভারত ও বাংলাদেশের ভিসা আবেদনে জালিয়াতি চিহ্নিত ও দমন করা যায়। সংশ্লিষ্ট নথিপত্রে এই দুই দেশকে ‘নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জিং দেশ’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, এবং ভিসা অপব্যবহারের সর্বোচ্চ হার থাকা দেশগুলো থেকে আসা আবেদনে অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কানাডার সরকার ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসের শুরুতে (৩ ও ৪ নভেম্বর) সরকারি আইন প্রস্তাব এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের অস্থায়ী ভিসা গণহারে বাতিলের নতুন ক্ষমতা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সিবিসি নিউজ-সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে, কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব বিভাগ (আইআরসিসি) এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (CBSA) যৌথভাবে মার্কিন অংশীদারদের নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা শুরু করেছে। মূল অভিযোগ—বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে ব্যাপক ভিসা জালিয়াতি ও অসত্য তথ্যের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই দুই দেশের আবেদনকারীদের ওপর ‘নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে চোখ রাখা হচ্ছে।
সরকারি নথিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, গত বছরের তুলনায় জালিয়াতির কারণে ভিসা বাতিলের হার ২৫ শতাংশ বেড়েছে এবং “অপব্যবহারের সর্বোচ্চ হার থাকা দেশ” হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নতুন এই আইনের (Bill C–12) মূল লক্ষ্য: সন্দেহজনক আবেদন দ্রুত বাতিল এবং জরুরি পরিস্থিতিতে দেশভিত্তিক গণবাতিলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা।
এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, পর্যটক ও কর্মসংস্থান ভিসার আবেদনকারীরা একযোগে ভিসা বাতিলের আশঙ্কায় পড়েছেন। আন্তর্জাতিক অধিকার কর্মী ও অভিবাসন আইনজীবীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, দ্রুত সাংঘাতিক উদ্যোগ না নিলে দুই দেশের নাগরিকদের কানাডায় অভিবাসন, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সুযোগ মারাত্মকভাবে সংকুচিত হবে।
১১২ বার পড়া হয়েছে