সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

পৃথিবীকে ১৫০ বার ধ্বংস করার মতো পারমাণবিক অস্ত্র আছে যুক্তরাষ্ট্রে !

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:৫২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
চীনের প্রতি কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।

তবে একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, সহযোগিতার মাধ্যমেই দুই দেশ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।

ট্রাম্প জানান, চীন দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নজরদারি চালিয়ে আসছে। এ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আগের অভিযোগগুলোর সঙ্গেও তিনি একমত। এসব অভিযোগে বলা হয়, চীনা হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ গ্রিড, পানি সরবরাহব্যবস্থা এবং নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। এ ছাড়া মার্কিন মেধাস্বত্ব চুরির অভিযোগও বহুবার উত্থাপন করা হয়েছে।

তবে ট্রাম্প স্বীকার করেন, যুক্তরাষ্ট্রও চীনের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি চালায়। তাঁর মতে, এটি আধুনিক বিশ্বে প্রতিযোগিতারই অংশ। তিনি বলেন, দুই দেশই একে অপরকে পর্যবেক্ষণ করছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত সম্পর্কের ভারসাম্য ভালোভাবেই বজায় আছে। তিনি আরো বলেন, নিরস্ত্রীকরণ খুব বড় বিষয়। আমাদের কাছে এমন পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে আমরা বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি। রাশিয়ার কাছে প্রচুর পারমাণবিক অস্ত্র আছে, আর চীনেরও অনেক হবে। তাদের কিছু আছে। তাদের যথেষ্ট আছে।

চীনের পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তাঁর মতে, বেইজিং দ্রুত তাদের পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সমপর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ, রাশিয়া রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।

নিরস্ত্রীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে ট্রাম্প জানান, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁর দাবি, বিশ্বে বর্তমানে এত পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে যে, তা দিয়ে বহুবার মানবসভ্যতা ধ্বংস করা সম্ভব।

সম্প্রতি ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। এ পদক্ষেপের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়া ও চীনও নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে, যদিও তা প্রকাশ্যে আসে না।

চীন–যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, ওয়াশিংটন বাণিজ্যযুদ্ধে ভালো অবস্থানে থাকলেও চীন বিরল খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণে অনেক এগিয়ে। প্রায় তিন দশক ধরে বেইজিং এসব খনিজ সঞ্চয় করছে এবং এখন সেগুলো কৌশলগতভাবে ব্যবহার করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক অস্ত্র উৎপাদনে এই বিরল খনিজের বড় ভূমিকা রয়েছে। ট্রাম্পের মতে, চীন এ সম্পদকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, আর যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা চাপ হিসেবে উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধ করেছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, দুই পক্ষই কখনো কখনো অযৌক্তিক পদক্ষেপ নিয়েছে, আর শেষ পর্যন্ত শুল্কই ছিল তাদের প্রধান অস্ত্র।

১১২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন