সর্বশেষ

সারাদেশ

কড়া নজরদারিতে আজ থেকে খুলছে সেন্টমার্টিন, জাহাজ চলাচল বন্ধ 

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার প্রতিনিধি

শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:৪৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দীর্ঘ ৯ মাস পর আজ (১ নভেম্বর) থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। তবে নভেম্বর মাসে দ্বীপে রাতযাপনের অনুমতি থাকছে না; শুধুমাত্র দিনের বেলায় ভ্রমণ করা যাবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, এবারও কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আইনগত জটিলতার কারণে উখিয়ার ইনানী ঘাট থেকে যাত্রা করার সুযোগ নেই।

প্রথম দিনেই জাহাজ চলাচল স্থগিত

উদ্বোধনের দিন থেকেই সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল না করার ঘোষণা দিয়েছেন মালিকরা। প্রাথমিকভাবে ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ ও ‘বারো আউলিয়া’ নামের দুটি জাহাজ আজ থেকে চলাচল শুরু করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তারা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, “কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে দশ ঘণ্টা সময় লাগে। রাতযাপনের অনুমতি না থাকায় একই দিনে যাওয়া-আসা বাস্তবসম্মত নয়। আমরা ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন রাতযাপনের সুযোগ থাকবে।”

১২টি নির্দেশনায় কড়া নজরদারি
দ্বীপের নাজুক প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ১২টি নির্দেশনা জারি করে।

 

এর মধ্যে রয়েছে—
ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ বাধ্যতামূলক,
প্রতিটি টিকিটে কিউআর কোড ও ট্রাভেল পাস থাকতে হবে,
অনুমোদনবিহীন নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ,
রাতে সৈকতে আলো, শব্দ ও বারবিকিউ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা,
সৈকতে মোটরচালিত যানবাহন, সি-বাইক নিষিদ্ধ,
পলিথিন ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক দ্রব্য বহনে নিষেধাজ্ঞা।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপপরিচালক মহিবুল ইসলাম বলেন, “ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিউআর কোড ছাড়া কোনো টিকিট বৈধ হবে না।”

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ ছিল। দীর্ঘ ৯ মাসে মানবচাপ কমে যাওয়ায় সেন্টমার্টিনে জীববৈচিত্র্যের উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। প্রায় ১ হাজার ৭৬ প্রজাতির জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এই দ্বীপে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সীমিতভাবে রাতযাপনের অনুমতি দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও পর্যটন বন্ধ থাকবে।

১১২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন