চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল-বন্যার রাত: ৯ ম্যাচে ৪৩ গোল, ৫ লাল কার্ড, ৬ পেনাল্টি

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবার রাত যেন এক অবিশ্বাস্য নাটকীয়তায় ভরা এক ফুটবল উৎসব। ইউরোপ সেরা এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে স্মরণীয় রাতগুলোর একটি হয়ে থাকবে এবারের এই রাত।
৯টি ম্যাচে মোট গোল হয়েছে ৪৩টি, লাল কার্ড দেখেছেন ৫ জন খেলোয়াড়, আর ৬টি পেনাল্টির মধ্যে গোল হয়েছে ৫টিতেই।
রাতের সবচেয়ে বড় আলোড়ন তুলেছে প্যারিসে, যেখানে পিএসজি ৭–২ গোলের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বুন্দেসলিগা ক্লাব লেভারকুসেনকে। দুই দলই ম্যাচে একটি করে লাল কার্ড দেখেছে। লেভারকুসেনের আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো পেনাল্টি থেকে গোল মিস করেন, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
নেদারল্যান্ডসের ক্লাব পিএসভি আইন্দহোভেন পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন নাপোলিকে হারিয়েছে ৬–২ গোলে। ইউরোপিয়ান মঞ্চে এমন জয় ক্লাবটির ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আর্সেনাল, নিউক্যাসল ও ম্যানচেস্টার সিটি প্রত্যেকেই পেয়েছে দারুণ জয়। সিটির নরওয়েজিয়ান তারকা আর্লিং হলান্ড টানা ১২তম ম্যাচে গোল করে ছুঁয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ রেকর্ড।
গোলবন্যার সূচনা করেছিল বার্সেলোনা, যারা ৬–১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে গ্রিসের অলিম্পিয়াকোসকে। কাতালানদের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন তরুণ মিডফিল্ডার ফারমিন লোপেজ। এই ম্যাচেই অলিম্পিয়াকোসের সান্তিয়াগো হেজে লাল কার্ড দেখেন।
এক নজরে পরিসংখ্যান: ইতিহাসের কোথায় এই রাত?
চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এক রাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোল হলো এবার। ৯টি ম্যাচে মোট গোল ৪৩টি, গড়ে প্রতি ম্যাচে ৪.৭৮ গোল—যা ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গড়। এর চেয়ে বেশি গড় হয়েছিল শুধু ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর, ৮ ম্যাচে ৪০ গোল, অর্থাৎ ৫ গোল প্রতি ম্যাচে।
সবচেয়ে বেশি গোল করেছিল ২০২৩-২৪ মৌসুমের লিগ পর্বের শেষ রাতে, যেখানে ১৮টি ম্যাচে হয়েছিল ৬৪ গোল (প্রতি ম্যাচে গড় ৩.৫৫)।
রাতের ম্যাচগুলোতে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে ইংলিশ ক্লাবগুলো—মোট ৯টি। একাই ৭ গোল করেছে পিএসজি, যা ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করে। খেলোয়াড়দের জাতীয়তা অনুযায়ী স্প্যানিশ ফুটবলাররা ছিলেন শীর্ষে—তাঁরা মিলিয়ে করেছেন ৬ গোল। দ্বিতীয় স্থানে ইংল্যান্ড, তাদের খেলোয়াড়েরা করেছেন ৫টি গোল।
চারটি দল গোলশূন্য থেকে মাঠ ছেড়েছে—ইউনিয়ন সাঁ-জিলোয়াঁ (বেলজিয়াম), বেনফিকা (পর্তুগাল), কাইরাত (কাজাখস্তান) ও পাফোস (সাইপ্রাস)।
লাল কার্ড প্রাপ্ত খেলোয়াড়েরা:
সান্তিয়াগো হেজে (অলিম্পিয়াকোস), রবার্ট আনড্রিক (লেভারকুসেন), ইলিয়া জাবারনি (পিএসজি), লরেৎসো লুক্কা (নাপোলি), জোয়াও কোরেইয়া (পাফোস)।
১১১ বার পড়া হয়েছে