সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

হামাসবিরোধী লড়াইয়ে বাহিনী পাঠাতে আগ্রহী কয়েকটি দেশ: ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ ৩:০২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, মধ্যপ্রাচ্য এবং এর আশপাশের কিছু মিত্র দেশ গাজায় হামাসবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নিতে নিজেদের সামরিক বাহিনী পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, এসব দেশ তাঁর অনুরোধে এ ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে।

ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে মঙ্গলবার দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, “মধ্যপ্রাচ্য ও আশপাশের আমাদের বর্তমান মহান মিত্ররা আমাকে জানিয়েছেন, তারা গাজায় একটি শক্তিশালী বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত। যদি হামাস তাদের আচরণ পরিবর্তন না করে এবং আমাদের সঙ্গে করা চুক্তি ভঙ্গ করে, তাহলে তারা হামাসকে ‘মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবে’।"

যদিও তিনি নির্দিষ্টভাবে কোনো দেশের নাম প্রকাশ করেননি, তবে ইন্দোনেশিয়াকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, “মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া সহায়তার জন্য আমি মহান ও শক্তিশালী দেশ ইন্দোনেশিয়া এবং দেশটির অসাধারণ নেতাকে ধন্যবাদ জানাই।”

গাজায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ইন্দোনেশিয়া ও কয়েকটি দেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও, এখন পর্যন্ত কোনো দেশ সরাসরি হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক সংঘর্ষে জড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেনি।

ট্রাম্প আরও বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের প্রতি এমন ভালোবাসা ও উদ্দীপনা গত এক হাজার বছরের মধ্যে আর কখনও দেখা যায়নি। এটি এক অসাধারণ দৃশ্য। তবে আমি এসব দেশ ও ইসরায়েলকে বলেছি— ‘এখনই নয়’। আমি এখনো আশাবাদী, হামাস সঠিক পথ বেছে নেবে। কিন্তু যদি তা না করে, তাহলে দ্রুত, কঠোর ও নির্মম পরিণতি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।”

উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েল গত দুই বছরে হামাসের প্রায় সব শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাকে হত্যা করেছে। জাতিসংঘসহ একাধিক মানবাধিকার সংস্থা গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমকে “জাতিগত নিধন” (জেনোসাইড) বলে অভিহিত করেছে। ইতোমধ্যেই ৬৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং উপত্যকাটি ভয়াবহ খাদ্যসংকটসহ চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

১১৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন