সর্বশেষ

জাতীয়

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে এখনও নিখোঁজ অনেকে, ছবি হাতে স্বজনদের ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ৩:১৭ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় এক পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। আহত ও নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে। কসমিক ফার্মা নামে একটি রাসায়নিক গুদামে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়, যা দ্রুতই পাশের একটি পোশাক কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা ১৬ জনের মরদেহের অধিকাংশই পোশাক কারখানাটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মরদেহগুলো এতটাই পুড়ে গেছে যে, এখনো কারও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকেও নিখোঁজদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

ঘটনাস্থলে দেখা যায়, নিখোঁজ স্বজনদের ছবি হাতে বিভিন্নজন ছুটে বেড়াচ্ছেন এক ভবন থেকে আরেক ভবনে। কেউ খুঁজছেন ভাইকে, কেউ বন্ধুকে, আবার কেউ সন্তানের কোনো খোঁজ পাওয়ার আশায় প্রতীক্ষায়।

নাসিমা আক্তার খুঁজছেন তার ভাইয়ের ছেলে রবিনকে, যিনি জিএম ফ্যাশন নামে কারখানার তিনতলায় কাটিং মাস্টার হিসেবে কাজ করতেন। নাসিমা জানান, “ভবনের পাঁচতলার কিছু শ্রমিক বের হতে পারলেও তিনতলা থেকে কেউই বের হতে পারেনি।”

একইভাবে শাকিল আহমেদ খুঁজছেন তার মামাতো ভাই খালিদ হাসান সাব্বিরকে, যিনি আরমান গার্মেন্টসে স্টোর ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শাকিল বলেন, “সাব্বিরের মোবাইল ফোন এখনও বাজছে, কিন্তু কেউ ধরছে না।”

অন্যদিকে, বন্ধু সারোয়ারের খোঁজে ঘটনাস্থলে যান আমানুল্লাহ। তিনি জানান, সারোয়ার সম্প্রতি একটি ওয়াশিং ফ্যাক্টরিতে হেলপার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। আগুন লাগার পর থেকে তার আর কোনো সন্ধান মেলেনি।

পোশাক কারখানার আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও রাসায়নিকের গুদামের আগুন সন্ধ্যার পরও জ্বলতে দেখা যায়। আগুন লাগার সাড়ে সাত ঘণ্টা পরও ওই গুদামে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়নি। রাসায়নিকের তীব্র গন্ধে দুর্ভোগে পড়ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাসায়নিকের গুদামটি টিনশেড নির্মিত ছিল এবং এটি 'আলম সাহেব' নামে একজনের মালিকানাধীন। এখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশের একটি বড় অংশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা করছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও। ভিড় সামাল দিতে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে ঘটনাস্থল।

রাত ৭টার পরও গুদামে আগুন জ্বলছিল এবং নতুন করে কোনো মরদেহ উদ্ধারের খবর মেলেনি। দগ্ধ মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

১০৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন