কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশনের বড় অভিযান, বহু বাংলাদেশি আটক

শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৩:২৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের চৌ কিট এলাকায় শুক্রবার গভীর রাতে পরিচালিত একটি যৌথ অভিযানে বাংলাদেশিসহ মোট ১৯৬ জন বিদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।
অবৈধভাবে বসবাস ও কর্মসংস্থানের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়।
প্রায় ৭০০ মিটার জুড়ে বিস্তৃত এলাকায় অবস্থিত ৪৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান—যার মধ্যে রেস্তোরাঁ, খুচরা দোকান ও হোটেল রয়েছে—সেগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানে প্রায় ৪০০ জন বিদেশি ও স্থানীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আট দেশের নাগরিকদের আটক করা হয়, যাদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, জর্ডান, নেপাল, ফিলিপাইন এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছেন।
ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, অভিযানে তিনজন মালয়েশিয়ান নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অভিবাসী নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, “অনেক রেস্তোরাঁ মালিক বৈধ কর্মীদের আড়ালে অবৈধ অভিবাসীদের কাজে লাগাচ্ছেন। এ ধরনের প্রতারণামূলক কৌশলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযানে ইমিগ্রেশন বিভাগের পাশাপাশি কুয়ালালামপুর সিটি হল (DBKL), দেশীয় বাণিজ্য ও খরচ মন্ত্রণালয় (KPDN) এবং রয়েল মালয়েশিয়ান পুলিশ যৌথভাবে অংশ নেয়। অভিযান চলাকালে ১৯৭৪ সালের আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৫২টি টেবিল ও ২০৪টি চেয়ার জব্দ করা হয়।
KPDN থেকে জানানো হয়, তল্লাশিকৃত ৪৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটিকে মোট ৫,৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা করা হয়েছে এবং কোম্পানি কমিশনের (SSM) নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে কম্পাউন্ড নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
এদিকে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইন এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালার আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে অবৈধভাবে অবস্থান, মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা ব্যবহার ও কাজের অনুমতির অপব্যবহার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি আরও জানান, “রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা তথাকথিত ‘ছোট পাকিস্তান’-এর মতো অঞ্চলগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।” একইসঙ্গে তিনি স্থানীয়দের অবৈধ অভিবাসী সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
তবে কোন দেশের কতজন নাগরিক আটক হয়েছেন, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
১০৮ বার পড়া হয়েছে