সর্বশেষ

সারাদেশ

কুমিল্লার হোমনায় মাজারে হামলা : পুলিশের মামলায় আসামি ২২শ'

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা প্রতিনিধি

শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৭:২৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ কেন্দ্র করে চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ২ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

হোমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বেমজা মহসিন’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

অবস্থা উত্তপ্ত হলে, স্থানীয়রা অভিযুক্ত মহসীনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ সন্ধ্যায় মো. মহসীন (৩৫) নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। তিনি হোমনা উপজেলার ফকিরবাড়ির বাসিন্দা এবং আলেক শাহর ছেলে।

পরে ‘বাংলাদেশ ইসলামী যুব সেনা’ হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হোমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহসীনকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উত্তেজিত জনতা আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে জড়ো হয়। একপর্যায়ে হাত মাইকে ঘোষণা দিয়ে তারা মহসীনের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে তার বাড়ির পাশে থাকা কফিল উদ্দিন শাহর মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

এ সময় মাজার চত্বরে থাকা তিনটি ঘরেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে একটি মোটরসাইকেলসহ ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

পরে হামলাকারীরা মিছিলসহ আরও তিনটি মাজারে হামলা চালায়—আবদু শাহর মাজার, কালাই (কানু) শাহর মাজার এবং হাওয়ালি শাহর মাজারে। হাওয়ালি শাহর মাজারেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এসআই তাপস কুমার সরকার বলেন, “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পর থেকে আসাদপুর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত, তবে আমরা সতর্ক রয়েছি।”

১০৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন