সর্বশেষ

সারাদেশ

দৌলতপুরে পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, স্কুল বন্ধ, বাড়ছে দুর্ভোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১১:২০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ভারত থেকে আসা ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুষ্টিয়ার পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। ১৩ আগস্ট (বুধবার) পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮৯ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার মাত্র এক সেন্টিমিটার নিচে।

একই দিন গড়াই নদীর পানি ১১.২৭ সেন্টিমিটারে পৌঁছায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের শুরু থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ সেন্টিমিটার করে পানি বেড়ে চলেছে।

এতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চরাঞ্চলের নিচু এলাকায় ঢুকে পড়া পানিতে তলিয়ে গেছে আবাদি জমি, রাস্তাঘাট ও ঘরের উঠান। বিশেষ করে মরিচ, পাট ও ধানের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোখাদ্যের সংকটে অনেকেই গবাদি পশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন।

চরের ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখতে হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ জানান, অন্যান্য বিদ্যালয় সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, যদিও বসতঘরে এখনও পানি প্রবেশ করেনি, তবে পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে তা হুমকির মুখে পড়বে। চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে, এবং মানুষ এখন চরম দুর্ভোগে রয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, "বন্যা মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।"

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুজ্জামান জাহিদ জানিয়েছেন, পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি প্রতিদিনই বাড়ছে, তবে তা কতদিন স্থায়ী হবে, তা নির্ভর করছে উজানের পরিস্থিতির ওপর।

১২২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন