মুক্ত রম্য ভাবনা
গণতন্ত্র আমদানি করা যাবে...

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫ ৭:১১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ষাট বা সত্তর দশকে ব্যাপারখানা ছিল আমেরিকায় ছাত্ররা স্কুল কলেজে যাবে, যা পড়ানো হয় পড়বে, যা করতে বলে করবে, তার ফাঁকে ফাঁকে ড্রাগস আর সেক্স চললে চলবে।
ম্যালকম এক্স বললেন... "নো"
এখন যেমন জোহরান মামদানী বলছেন ছাত্ররা শুধু রাজনীতিবিদদের প্রশ্নই করবে না, চ্যালেন্জ করবে। বৈষম্য নিয়ে, বাকস্বাধীনতা নিয়ে, দূর্নীতি নিয়ে।
তাই রিপাবলিকানদের মাথা নষ্ট। ডেমোক্রেটরা চুপ। নিউইয়র্কের স্ট্যাটান আইল্যান্ডের বাচ্চারা তাদের স্কুলে তাদের হবু মেয়র মামদানীর ভাষন শোনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু বাচ্চাদের বাবা মায়েরা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাজনীতি করা কেন বলে মামদানীকে স্কুলেই ঢুকতে দেবেন না। তাই ছেলেমেয়েরা করলে বিদ্রোহ, তারা চিতকার করে আকাশ বাতাস কাঁপালে... "লেট হিম স্পিক!"
বাধ্য হলো কতৃপক্ষ। বাবা-মা ঠান্ডা। রিপাবলিকান মাস্তানরা পালালো। এখন বিতর্কের ঝড় আমেরিকায়। অনেক জায়গার অনেক স্কুলেই ছাত্ররা বসে গেছে সেমিনারে। পর্নোছবি, ড্রাগ, সেক্স থেকে ছাত্ররা সরে এসে রাজনীতিবিদদের চ্যালেন্জ ছুড়লে দূর্নীতি, ধান্দাবাজী, তেলমারা, চেতনার ব্যাবসা সব বরবাদ!
এখন কিশোরী কেলেঙ্কারিতে ট্রাম্প বিতাড়িত হয় কি-না সেটাই প্রশ্ন। তাই হলে গণতন্ত্র জিতে গেলে। না হলে স্বৈরাচার। কে জেতে এই প্রশ্নের উত্তর অচিরেই পাওয়া যাবে। তবে ওদেশে ছাত্রদের এই সংহতি যদি বাংলাদেশের মতো দুর্বার অভ্যুত্থানে রূপ নেয় তাহলে দুই দলেরই পেছনে বাঁশ!
আসল কথাটা কী জানেন? কথাটা হলো, ততক্ষণ আমাদের মতো দেশে গণতন্ত্র আসবে না যতক্ষণ আমেরিকায় সেটা প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে। আমাদের তো নিজস্বতা বলতে কিছু নেই। চুরি বিদ্যা, তেলমারা, চাঁদাবাজি, ষড়যন্ত্র ছাড়া আমরা কোন কিছুই আয়ত্ব করিনি। তাই আমেরিকায় যখন গণতন্ত্র আসবে তখন না হয় আমেরিকা থেকেই গণতন্ত্র আমদানি করা যাবে।
আপাতত আমরা ঘুরেফিরে সেই পরিবারতন্ত্রের মধ্যেই না-হয় থাকি হেঁ হেঁ হেঁ....
(লেখাটি লেখকের ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে)
লেখক: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার
১৪৫ বার পড়া হয়েছে