হামলায় অন্তত ৭১ এবং দুর্ভিক্ষে ৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

বৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই, ২০২৫ ৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গাজা উপত্যকায় তীব্র খাদ্য সংকটের মাঝে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গেলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্যসূত্র।
গত বুধবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এর পাশাপাশি, গাজার হাসপাতালগুলো দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টির কারণে আরও ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, উত্তর গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক থেকে ত্রাণ নিতে গিয়ে জিকিম পয়েন্ট এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালায়, যার ফলে ৫১ জন নিহত ও ৬৪৮ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নিকটস্থ মোরাগ করিডর এলাকায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স জানিয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসে গাজায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’। তবে এই বিতর্কিত ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রগুলো থেকে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ত্রাণের অভাব ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে ফাউন্ডেশনটি জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবিক সংস্থার সমালোচনার মুখে পড়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টির কারণে এ পর্যন্ত ১৫৪ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ৮৯ জন শিশু। তাদের অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে ঘটেছে। একটি বৈশ্বিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষক সংস্থা গত মঙ্গলবার গাজায় দুর্ভিক্ষের সংকেত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে।
গাজার বাসিন্দা জিহান আল-কুরআন আল-জাজিরার সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “আমার মেয়ের পেটের দিকে দেখুন, কোনো মাংস নেই, শুধু হাড়। এক মাস ধরে সে এক টুকরা রুটি পায়নি।”
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএয়ের মুখপাত্র আদনান আবু হাসনা জানান, গাজায় প্রবেশ করা সামান্য ত্রাণেরও বড় অংশ মানুষদের কাছে পৌঁছায় না। জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজায় মানুষের দৈনিক খাদ্য চাহিদা পূরণে প্রতিদিন অন্তত ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রয়োজন হলেও, গত চার দিনে মাত্র ২৬৯টি ট্রাকই গাজায় প্রবেশ করেছে।
১৪০ বার পড়া হয়েছে