কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির আহ্বান, আলোচনায় আগ্রহী ব্যাংকক

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫ ৫:০৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের অবসানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া।
শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে দেশটির পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।
কম্বোডিয়ার জাতিসংঘ দূত চেয়া কেও বলেন, ‘আমরা নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছি এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাচ্ছি।’
সংঘাতের দ্বিতীয় দিনে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ ও হামলার ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কম্বোডিয়ার ওদ্দার মিনচে প্রদেশে থাইল্যান্ডের হামলায় এক বৃদ্ধ নিহত ও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে থাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সীমান্ত এলাকা থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১৫ জন নিহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সেনা সদস্য রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪৬ জন, যাঁদের মধ্যে ১৫ জন সেনা।
থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোরন্দেজ বালানকুরা জানান, ‘পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কম্বোডিয়া চাইলে দ্বিপক্ষীয় কিংবা মালয়েশিয়ার সহায়তায় আলোচনা সম্ভব।’
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ানের বর্তমান চেয়ারম্যান দেশ মালয়েশিয়া। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—দুই দেশই আসিয়ানভুক্ত।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ বৃহস্পতিবার সহিংস সংঘাতে রূপ নেয়। সেদিন দুই পক্ষের মধ্যে ভারী অস্ত্রের ব্যবহার হয়, যার মধ্যে ছিল যুদ্ধবিমান, কামান, ট্যাংক এবং পদাতিক সেনা।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটলে তা যুদ্ধেও রূপ নিতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত তা সীমিত সংঘর্ষেই রয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে গুরুত্ব দিচ্ছে, এবং জাতিসংঘও কূটনৈতিক উদ্যোগে সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে।
১২৩ বার পড়া হয়েছে