পাবনায় পুলিশি হেফাজতে জব্দকৃত তিন অটোরিকশা পুড়ে ছাই, ক্ষতিপূরণ দাবি

শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫ ১:৪৭ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাবনা পুলিশ লাইনে সংরক্ষিত অবস্থায় থাকা জব্দকৃত তিনটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা আগুনে পুড়ে গেছে।
শনিবার (২১ জুন) সকালে পুলিশ লাইনের স্টাফ মেসের সামনে রাখা এসব অটোরিকশায় আগুন লাগে। আগুনে একটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত ও দুটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পুলিশের দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে ভুক্তভোগী চালকরা অভিযোগ করেছেন, পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় এমন অস্বাভাবিক ঘটনার জন্য দায় নিতে হবে প্রশাসনকেই। তারা দ্রুত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার (২০ জুন) সকালে সদর উপজেলার গাছপাড়া বাইপাস এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ফিটনেস ও কাগজপত্রে ত্রুটির অভিযোগে বেশ কয়েকটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো পুলিশ লাইনের মাঠে রাখা হয়।
পরদিন সকালে হঠাৎ তিনটি অটোরিকশা থেকে ধোঁয়া ও আগুনের শিখা দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তার আগেই একটি অটোরিকশা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়, দুটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জোত আদম গ্রামের ভুক্তভোগী হাফিজুল ইসলাম বলেন, “জমি বন্ধক রেখে ৩ লাখ টাকায় অটোরিকশা কিনে নিজেই চালাচ্ছিলাম। যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি ছিল না। নিজেই চালিয়ে গাড়ি পুলিশ লাইনে জমা দিয়ে আসি। পরে শুনি আগুনে পুড়ে গেছে। এখন আমার ক্ষতির দায়িত্ব কে নেবে?”
চাটমোহরের চালক কবির হোসেন বলেন, “আমার গাড়ি আংশিক পুড়েছে। এখন এটা মেরামত করাতে অনেক টাকা লাগবে। আমাদের তো দিন এনে দিন খাওয়া। ক্ষতিপূরণ ছাড়া চালানো সম্ভব নয়।”
অটোরিকশাচালক মোস্তফা কামাল বলেন, “আমার গাড়ির পাশে থাকা তিনটি গাড়িতে আগুন লাগে। অল্পের জন্য বেঁচে গেছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশি হেফাজতে গাড়িগুলো কতটা নিরাপদ?”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মশিউর রহমান মন্ডল বলেন, “ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। তবে শুনেছি একটি অটোরিকশায় আগুন লাগে, পাশে থাকা দুটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সিলিন্ডার লিকেজের কারণে আগুন লাগতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ লাইনে সিসিটিভি আছে, ফুটেজ দেখে বিস্তারিত জানা যাবে।”
এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। পাশাপাশি দ্রুত ক্ষতিপূরণের আশ্বাস চেয়েছেন তারা।
১২১ বার পড়া হয়েছে