সর্বশেষ

আইন-আদালত

হলি আর্টিসান মামলা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ, ৭ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালত আসামিদের আপিল ও জেল আপিল এবং মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন। রায়টি বাংলায় ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন তৎকালীন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আরিফুল ইসলাম ও আমিমুল এহসান। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস এম শফিকুল ইসলাম।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির আত্মঘাতী সদস্যরা। হামলায় ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, এক ভারতীয়, একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান এবং দুজন বাংলাদেশিসহ মোট ২০ জনকে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের গুলিতে পুলিশের দুই কর্মকর্তা—ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ ও সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলামও নিহত হন।

পরদিন ভোরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত ‘থান্ডারবোল্ট’ কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। তারা হলেন—মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল এবং শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

ঘটনার পর গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১ জুলাই পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন। যাদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল তারা হলেন—জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ এবং মামুনুর রশিদ। খালাসপ্রাপ্ত আসামি হলেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

হাইকোর্টের অনুমোদনের জন্য বিচারিক আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্তদের মামলার নথি পাঠানো হয়, যা ‘ডেথ রেফারেন্স’ নামে পরিচিত। উচ্চ আদালতের দীর্ঘ শুনানির পর এখন প্রকাশিত হলো পূর্ণাঙ্গ রায়।

রায়ে বলা হয়েছে, নব্য জেএমবির আরও আট সদস্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিমকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

১১৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন