সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

তেহরানবাসীর শঙ্কা: এক কোটি মানুষ যাবে কোথায় ?

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫ ৬:৪৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ইরানের রাজধানী তেহরান ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে বহু মানুষ। কিন্তু রাজধানীর রাস্তাগুলো এখনো তীব্র যানজটে আটকে।

বিবিসি পার্সিয়ানের সাংবাদিক ঘোনচে হাবিবিয়াজাদ জানাচ্ছেন, তিনি এমন একটি পরিবারের কথা জানেন, যারা তেহরান থেকে রওনা হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় নিয়েছে ১৪ ঘণ্টা। অথচ সাধারণ সময়ে এই পথ পাড়ি দিতে লাগে মাত্র তিন ঘণ্টা।

যদিও এত দীর্ঘ সময় লেগেছে, তবু পরিবারটি নিজেদের ‘ভাগ্যবান’ মনে করছে কারণ শেষ পর্যন্ত তারা তেহরান ছাড়তে পেরেছে।

এই পরিবারের মতো আরও অনেকেই বলছেন, তেহরান ছাড়তে পারাটা যেন এখন একরকম সৌভাগ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে শহরটিতে যাঁরা এখনও আটকে আছেন, তাঁদের জন্য স্বজনদের উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে।

ঘোনচে জানান, গত রাতে তিনি তাঁর এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেন, সে তেহরান ছাড়তে পেরেছে কি না। জবাবে বন্ধু জানায়, ‘রাস্তাগুলো পুরোপুরি অবরুদ্ধ। এখন বেরোলে কেবল যানজটে পড়েই আটকে থাকতে হবে। এই মুহূর্তে সেটা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।’

সবকিছু আরও জটিল করে তোলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আহ্বান, যেখানে তিনি তেহরানের কিছু এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যেতে বলেন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেন, তেহরানবাসীদের শহর ছেড়ে দেওয়া উচিত।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার নজিরবিহীন সংঘাত ইতিমধ্যে পঞ্চম দিনে পড়েছে। দুই দেশের মধ্যে চলছে আকাশপথে পাল্টাপাল্টি হামলা। ইসরায়েলের হামলায় ইরানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২২৪ জন, আর ইরানে চালানো পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের ২৪ জন নিহত হয়েছেন।

তেহরানে তখনও ভোর হয়নি ঘড়ির কাঁটা সাড়ে চারটা ছুঁই ছুঁই। অথচ মানুষ এখনো ঘুমাতে পারেনি।

ঘোনচে হাবিবিয়াজাদ বলেন, তিনি যেসব ইরানি গ্রুপ চ্যাটে যুক্ত, সেগুলোর বেশিরভাগই এখন রাজনৈতিক বিতর্ক আর হামলার খবরে ভরে গেছে।

একজন চ্যাটে লিখেছেন, ‘আমি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছি – শরীরেও, মনেও। টানা চার রাত ঘুমাতে পারিনি।’

আরেকজন প্রশ্ন করেছেন, ‘তেহরানের এক কোটি মানুষ আসলে কীভাবে শহর ছাড়তে পারে?’

কেউই এর কোনো জবাব দিতে পারেনি।

১২১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন