সর্বশেষ

সারাদেশ

বন্যার শঙ্কায় উত্তরের জনপদ, তলিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫ ২:৪২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নদনদীর পানি বাড়তে থাকায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এরই মধ্যে গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেটের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঈদুল আজহার আগে হঠাৎ এ দুর্যোগে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

গাইবান্ধা: পানি বাড়ছে সব নদনদীতে, আতঙ্কে মানুষ
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট, তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বাড়ছে। যদিও এখনো পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে, তবে পানি বাড়তে থাকায় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়েছে ৭৮ সেন্টিমিটার, ঘাঘটের পানি শহরের নতুন ব্রিজ এলাকায় বেড়েছে ৫৮ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি বেড়েছে ২৫ এবং তিস্তার পানি বেড়েছে ২১ সেন্টিমিটার। সদরের কামারজানি ও ঘাগোয়া, ফুলছড়ির এরান্ডাবাড়ী ও ফজলুপুর, এবং সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের মানুষ জলাবদ্ধতায় ভুগছে।

নেত্রকোনা: বৃষ্টিতে নদনদীর পানি বেড়েছে
নেত্রকোনায় টানা কয়েক দিনের হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিতে জেলার সব নদনদীর পানি বেড়েছে। সর্বোচ্চ ১৭৯.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোমেশ্বরী, উব্দাখালী, মগড়া, কংস ও ধনু নদীর পানি বাড়লেও তা এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। পাউবো জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্যার তীব্র শঙ্কা নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া (আখাউড়া): পাহাড়ি ঢলে অবনতি, পানিবন্দি বহু পরিবার 
আখাউড়ায় টানা বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। তলিয়ে গেছে রাস্তা, কৃষিজমি, পুকুরসহ জনপদ। আখাউড়া স্থলবন্দরের শুল্ক ও ইমিগ্রেশন অফিসেও পানি ঢুকেছে। প্রায় ৪৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ১৮-১৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। খোলা হয়েছে ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র, যেখানে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৫০ জন। তবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান।

সিলেট (জকিগঞ্জ): কুশিয়ারার বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যা
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। রোববার গভীর রাতে ডাইকের একাধিক স্থানে ভাঙন দেখা দেয়, যার ফলে পানি প্রবল বেগে লোকালয়ে প্রবেশ করে। ডাইক উপচেও পানি প্রবেশ করায় বিভিন্ন গ্রাম, বাজার ও বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। জকিগঞ্জ পৌর শহরের বাজারে হাঁটুসমান পানি জমেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত কমলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩০.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরও এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও পাউবো। সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১২৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন