সর্বশেষ

সারাদেশ

সাগরের গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

সোমবার, ২ জুন, ২০২৫ ৭:৪০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
প্রকৃতি ও মানুষের অবহেলায় অস্তিত্ব হারাতে বসেছে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান। কোনো সময় যেখানে ছিল সবুজে ঘেরা বনভূমি, বন্যপ্রাণীর আশ্রয়স্থল এবং পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র, আজ তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত।

এখন কাগজে-কলমে টিকে থাকলেও বাস্তবে জাতীয় উদ্যান বলতে অবশিষ্ট মাত্র একটি ভবন।

গত বৃহস্পতিবারের জলোচ্ছ্বাসে উদ্যানের গেট, সীমানাপ্রাচীর ও বহু অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। উপড়ে পড়েছে শত শত ঝাউগাছ, ভেঙে গেছে মূল প্রবেশদ্বার। স্থানীয়দের ভাষ্য, এসব ধ্বংসাবশেষ অনেকেই সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন।

২০১০ সালে বন বিভাগ কুয়াকাটা, গঙ্গামতি ও খাজুরা এলাকায় ১৬১৩ হেক্টর জমিকে ‘জাতীয় উদ্যান’ হিসেবে ঘোষণা করে। উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতি সংরক্ষণ ও পর্যটন উন্নয়ন। কিন্তু গত এক দশকে সমুদ্রভাঙনে দুই-তৃতীয়াংশ বনভূমি হারিয়ে গেছে। উন্নয়ন কার্যক্রমও অগ্রসর হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, দুই দশক আগেও যেখানে ছিল গহিন বন, এখন সেখানে শুধুই শূন্যতা। বন ধ্বংসে ভূমিকা রেখেছে বনখেকো চক্র, কিছু অসাধু বন কর্মকর্তা ও কথিত বন্দোবস্তের মাধ্যমে ভূমি দখলদাররা। অনেক জায়গায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে গাছপালা; তৈরি হয়েছে বসতবাড়ি।

পরিবেশকর্মী মেজবাহউদ্দিন মাননু বলেন, “গত ২৪ বছরে সৈকতের ৭৫ শতাংশ বনভূমি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে কুয়াকাটা অঞ্চল ভয়াবহ সংকটে পড়বে।”

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, “সৈকতই এই এলাকার প্রাণ। সৈকত না বাঁচলে কিছুই টিকবে না। এখনই টেকসই প্রকল্প প্রয়োজন।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি টেকসই উদ্যান গড়ার সুপারিশ করা হবে।

বন বিভাগের নবনিযুক্ত কর্মকর্তা কে.এম মনিরুজ্জামান বলেন, “আমি নতুন যোগ দিয়েছি। সব কিছু সরেজমিনে দেখে রিপোর্ট পাঠাব।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, উপকূলীয় এই এলাকায় এখনই পরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা না নিলে কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান একদিন শুধু ইতিহাস হয়ে থাকবে।

১৩৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন